—প্রতীকী ছবি।
বিয়ে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিয়ের মধ্যে দিয়ে একটি ছেলে, একটি মেয়ে এবং উভয়ের পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিয়ের বিষয়ে পাত্র এবং পাত্রীর যেমন চিন্তা থাকে, তার থেকেও বেশি চিন্তায় থাকেন তাঁদের অভিভাবকেরা। প্রত্যেক অভিভাবকই তাঁদের সন্তানদের ঠিক সময়ে বিয়ে দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে চান। কেউ কেউ এই চিন্তা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পান, কেউ কেউ আবার দেরিতে। অর্থাৎ, কারও কারও কম বয়সে বিয়ে হলেও, কারও কারও ক্ষেত্রে অনেক চেষ্টার পরে বা বেশি বয়সে বিয়ে হয়।
জীবনের অন্যান্য ঘটনা যেমন জন্মছকে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের উপর নির্ভর করে, তেমনই নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিয়ে কখন হবে বা বিবাহিত জীবনে সুখী হবেন কি না, তা-ও নির্ভর করে জন্মছকে গ্রহের অবস্থানের উপর।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে দেবগুরু বৃহস্পতির দৃষ্টি যে কোনও সমস্যার সমাধান করে। নাড়ী জ্যোতিষ মতে, পুরুষ এবং নারীর বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ের উপর দু’টি ভিন্ন গ্রহের আধিপত্য রয়েছে। নাড়ী জ্যোতিষ মতে, পুরুষের বিয়ের কারক গ্রহ শুক্র এবং নারীর কারক গ্রহ মঙ্গল। পুরুষের জন্মছকে শুক্রের উপর বৃহস্পতি গ্রহের দৃষ্টি থাকলে বা শুক্রের সঙ্গে বৃহস্পতি অবস্থান করলে, বা শুক্রের তৃতীয়ে, পঞ্চমে, সপ্তমে, নবমে, একাদশে বৃহস্পতির অবস্থান হলে বিয়ে তাড়াতাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের জন্মছকে মঙ্গলের উপর বৃহস্পতি গ্রহের দৃষ্টি থাকলে বা মঙ্গলের সঙ্গে বৃহস্পতি অবস্থান করলে, বা মঙ্গলের তৃতীয়ে, পঞ্চমে, সপ্তমে, নবমে, একাদশে বৃহস্পতির অবস্থান হলে মহিলাদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়টি বৃহস্পতি কতটা বলবান তার উপর নির্ভর করে, অর্থাৎ কোনও অশুভ গ্রহের দৃষ্টি বৃহস্পতিকে বলহীন করলে তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।