হিন্দুরা পুজো-পাঠ বা অন্যান্য শুভ অনুষ্ঠানে স্বস্তিক চিহ্ন কেন বানায়?
স্বস্তিক চিহ্ন কেবল হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত নয় অন্য ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকেরাও একে পবিত্র মনে করে। খ্রীষ্টানরা পবিত্র ক্রশ গলায় পরে, তথা স্বস্তিক কে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে দেখলে বোঝা যায় এটা ‘ধন আবেশ’এর রূপ।ধন আবেশ অর্থাৎ Positive Point। দুটি ধনাত্মক শক্তি প্রবাহের মিলনে ধনাত্মক আবেশ Plus (+) তৈরি হয়।এটা স্বস্তিকের অপভ্রংশ।খ্রীষ্টানদের ক্রশের বিচ্ছেদ করলে পাওয়া যায় করি +আস্য যার অর্থ হাতির মুখওলা। খ্রীষ্টানদের পবিত্র শব্দ ক্রাইস্ট বিচ্ছেদ করলে পাওয়া যায়—কর+আস+ইষ্ট যার অর্থ হাতিসম মুখওয়ালা।হাতিসম মুখ যার সে হল অগ্রপূজ্য দেব গণেশ।স্বস্তিক চিহ্ন শ্রী গণেশের সাকার বিগ্রহের স্বরূপ।স্বস্তিকের চারটি ভূজা শ্রী বিষ্ণুর চার হাত।স্বস্তিক চার দিকে বা চার দিশায় শুভ সংকেত দেয়।স্বস্তিক ‘শ্রী’র ( লক্ষ্মী ) প্রতীক। ভগবান বিষ্ণু এবং ধন সম্পত্তির অধিষ্ঠাত্রী দেবীর প্রতীক স্বস্তিক।পুজোপাঠ বা অন্যান্য শুভ কাজের সময়ে পুরোহিতরা শুভ প্রাপ্তির জন্য ‘স্বস্তিকাবন’ করেন।
(২) পুজো-পাঠ, আরতি এবং অন্যান্য ধার্মিক কাজ করার সময় হিন্দুরা শঙ্খ বাজায় কেন?
শঙ্খ বাজানোর পেছনে হিন্দু বর্গের সম্পূর্ণ রূপে ধার্মিক আস্থা রয়েছে। বেদের কথা অনুযায়ী শঙ্খধ্বনি যতদূর পৌছায় সেই পর্যন্ত যে কোন অশুভ শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।পুজোতে শঙ্খ বাজানোর তাৎপর্য হল যে দেবী বা দেবতার পুজো ,তাঁর জয়ধ্বনি শঙ্খ বাজিয়ে করা হয়।