মানুষের চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন তার স্বভাব চরিত্রের মধ্যে দিয়ে ধরা পড়ে। চিন্তা ভাবনা গুলি নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিস্কের দ্বারা। তাই মানুষের প্রকৃতিও সেইরকম হয়ে থাকে। মানুষের চিন্তার এই প্রভাবের ফলশ্রুতিই ব্যক্তির চোখের উপর ক্রিয়া করে। তারফলেই চোখের দৃষ্টিতে ফুটে ওঠে তার মনের কথা। চোখ দেখেই সহজে বুঝে নেওয়া যায় কোনও ব্যক্তির প্রকৃতি ও চারিত্রিক ধরণ সম্পর্কে। মস্তিস্কের নিকটবর্তী জ্ঞানেন্দ্রিয় হল চোখ। মস্তিস্ক যে সঙ্কেত বা বার্তা পাঠায় তা চোখের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত হয়। তাই চোখই বিভিন্ন সময়ে আমাদের মস্তিস্কের চিন্তাভাবনা বা কার্যকলাপকে প্রকাশিত করে থাকে। তাই সহজেই এই কথা বলা যায় যে, আমাদের স্বভাব জানতে গেলে চোখ একটি উত্তম মাধ্যম। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন গ্রহের বিভিন্ন কারকত্ব গুলিই মানুষের স্বভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই একথা সহজেই বোঝা যায় চোখের উপর গ্রহদের প্রভাব অবশ্যই আছে। চোখের উপর বিভিন্ন গ্রহের প্রভাবের ভিত্তিতেই চোখের আকার, বর্ণ ইত্যাদি কিরকম হতে দেখে নেওয়া যাক-
মঙ্গলের প্রভাবাধীন চোখের আকৃতি ও প্রকৃতি কেমন হয় দেখে নিন -
মঙ্গলের প্রভাবাধীন ব্যক্তিরা সাধারণত কর্মী প্রকৃতির লোক হয়ে থাকেন। যে সব ব্যক্তি কায়িক পরিশ্রম করে জীবনযাপন করেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ লোকেরাই মঙ্গলের দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকেন। মঙ্গলের প্রভাব যুক্ত চোখের ব্যক্তিদের দৃষ্টি সাধারণত তীক্ষ্ণ হয় না। এদের চোখের দৃষ্টি দেখলে মনে হয়, এরা যেন কোথাও হারিয়ে গেছে। অর্থাৎ কোনও বিষয় বা বস্তুর অন্তরালে চাপা পড়ে যাচ্ছে। তাই সর্বদাই এদের দৃষ্টিকে ম্রিয়মান বলে মনে হয়। আপনি যদি আচমকা মঙ্গলের দ্বারা প্রভাবিত চোখ দেখেন, তাহলে আপনি অবশ্যই লক্ষ্য করবেন যে এই চোখের দৃষ্টিতে একটা খামখেয়ালী ভাবে দেখা যাচ্ছে। মঙ্গল প্রভাবিত চোখের মধ্যে কখনই প্রাণবন্ত স্বভাব দেখা যায় না। এই চোখের মধ্যে কোনও আর্কষণ থাকেনা।