কোন পানীয়ের গুণে বশে থাকবে ইউরিক অ্যাসিড? ছবি: সংগৃহীত।
কেউ টম্যাটো খাওয়া ছেড়েছেন, কেউ আবার বাজারে গেলে ঢ্যাঁড়শের দিকে ঘুরেও তাকান না। জিজ্ঞাসা করলে একটাই উত্তর— ইউরিক অ্যাসিড আছে। এটা মূত্রের স্বাভাবিক উপাদান। মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন খেলে বা ওজন বাড়লে কখনও কখনও ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড শরীরের অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালিতে থিতিয়ে পড়ে সমস্যার সৃষ্টি করে। থিতিয়ে পড়া ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টালের আকার নেয়। এটি গাঁটে ব্যথা ও প্রস্রাবের সংক্রমণ ডেকে আনে। এ ছাড়া কিডনিতে পাথরও জমতে পারে।
এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পিউরিনযুক্ত খাবার ও বেশি প্রোটিনজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। নিয়ম করে বিশেষ পানীয় খেলেও এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। কী ভাবে বানাবেন সেই বিশেষ পানীয়?
উপকরণ:
আধ কাপ লাউ
অর্ধেকটা শসা
১টি আপেল
৩-৪টি তুলসী পাতা
৩ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরার রস
২ টেবিল চামচ গিলয় বা গুলঞ্চের রস
প্রণালী:
লাউ, শসা আর আপেল টুকরো করে কেটে নিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে রস বার করে নিন। এ বার সেই রসে অ্যালো ভেরার রস, গিলয়ের রস আর পুদিনা পাতা কুচি ছড়িয়ে পান করুন নিয়মিত।
এই বিশেষ পানীয় আর কী কী উপকার করে শরীরের?
শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বার করতে এই পানীয় বেশ উপকারী। হজমের সমস্যা দূর করতেও এই পানীয় বেশ সাহায্য করে। শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতেও এই পানীয়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
এই পানীয় খেলেই যে আপনার শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে এমনটা নয়। এর পাশাপাশি নিয়ম করে শরীরচর্চাও করতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এ ক্ষেত্রে ভীষণ জরুরি। দিনে ৩-৪ লিটার জল খাওয়াও জরুরি। কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে ডায়েটে বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।