সাইনাসের দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
সাইনাসের সমস্যা শীতকালে বেড়ে যায়। সর্দি-কাশি, জ্বর, হাঁচি তো আছেই, সেই সঙ্গে সাইনাসও জাঁকিয়ে বসে। মাথাযন্ত্রণা, সারা ক্ষণ নাক-মাথা ভারী হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন জ্বর আসা— সাইনাসের প্রধান উপসর্গগুলি এটাই। শুধু শীতে নয়, বর্ষাতেও এই সমস্যা বেড়ে যায়। সাইনাসের সমস্যা সামলানো সহজ নয়। তাই শীতকালে সতর্ক থাকা জরুরি। সাইনাস হানা দিলে নিয়ম মেনে কিছু ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তবে শুধু ওষুধ খেয়ে সাইনাসের হাত থেকে নিষ্কৃতি মিলতে নাও পারে। তার জন্য ভরসা রাখতে হবে কিছু যোগাসনেও। কোন যোগাসনগুলি করলে খানিকটা হলেও স্বস্তি পাবেন?
বজ্রাসন
মেঝেতে হাঁটু মুড়ে বসুন। খেয়াল রাখবেন পায়ের গোড়ালি দুটো যেন পরস্পরের কাছাকাছি থাকে। পায়ের আঙুলগুলো জড়ো করে রাখুন। এ বার হাতের তালু হাঁটুর উপর রেখে উপরের দিকে মুখ করুন। পিঠের শিরদাঁড়া সোজা রাখুন ও সামনের দিকে তাকান। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গি ধরে রাখুন।
পদহস্তাসন
প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। শ্বাস ছাড়ুন। তার পর আস্তে আস্তে কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশটা বেঁকান। খেয়াল রাখুন আপনার নাক যেন হাঁটু স্পর্শ করে। দুটো পায়ের পাশে হাতের তালু রাখুন। প্রথম প্রথম করলে সুবিধের জন্য হালকা হাঁটু বেঁকানো যেতে পারে। একটু অভ্যাস করতে করতে হাঁটু সোজা রাখতে পারবেন। আপনার বুক যাতে আপনার উরু স্পর্শ করে, সেই খেয়াল রাখুন।
ভুজঙ্গাসন। ছবি: সংগৃহীত।
ভুজঙ্গাসন
মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তীকালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।