ইউরিক অ্যাসিডের ওষুধ হতে পারে যোগাসন। ছবি:সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস, আর্থ্রাইটিসের মতো ইউরিক অ্যাসিডও স্বাভাবিক জীবনযাপন কিছুটা স্তব্ধ করে দেয়। মূত্রের মধ্যে থাকা বিভিন্ন যৌগের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডও একটি। কার শরীরে কতটা পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড থাকবে, তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ এবং বিপাকহার কেমন, তার উপর। চিকিৎসকেদের মতে, রক্তে এই অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে না পারলে ভবিষ্যতে বিস্তর রোগ জাঁকিয়ে বসতে পারে। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে ঝুঁকি আরও দ্বিগুণ হয়। সুস্থ থাকতে তাই খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে হবে। তবে শুধু নিয়ম মেনে খেলেই হবে না। সেই সঙ্গে করতে হবে শরীরচর্চাও। তবে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা কোন শরীরচর্চাগুলি করলে বেশি সুফল পাবেন?
পশ্চিমোত্তাসন
সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। পায়ের পাতার অভিমুখ রাখুন আপনার দিকে। শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। এ বার শ্বাস নিন। দুটো হাত একসঙ্গে মাথার উপর সোজা করে তুলুন। এর পরে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকুন। হাত দু’টি গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছলে একটির কব্জি দিয়ে আর একটি ধরে রাখুন। মাথা রাখুন হাঁটুতে। এর পর শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখুন শিরদাঁড়া যেন সামনের দিকে প্রসারিত থাকে। শ্বাস নিন। এর পরে আস্তে আস্তে হাত দু’টি সরিয়ে মাথার উপর নিয়ে গিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার হাত দু’টি নামিয়ে নিয়ে পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। মানসিক উদ্বেগ কমাবে এই ব্যায়াম।
ভুজঙ্গাসন
উপুড় হয়ে ম্যাটের উপর শুয়ে পড়ুন। দুই হাত ভাঁজ করে বুকের দু’পাশে রাখুন। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মাথা এবং বুক মাটি থেকে উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন। মাথা এবং ঘাড়ও যতটা সম্ভব পিছন দিকে হেলিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখবেন, কোমরের নীচ থেকে বাকি অংশ যেন মাটি স্পর্শ করে থাকে। এই অবস্থায় থাকুন ১০ সেকেন্ড। তার পর আবার আগের ভঙ্গিতে ফিরে আসুন।
অর্ধ মৎস্যেন্দ্রাসন
দু’পা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসুন। প্রথমে একটি পা, অন্য আর একটি পায়ের উপর তুলে সোজা করে রাখুন। এর পর যে পা রেখেছেন তার উল্টো দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে রাখুন। একটি হাতে সামনের পায়ের পাতা স্পর্শ করে থাকবেন। আর অন্য হাতটি ঘুরিয়ে রাখবেন কোমরে। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।