রোগা হতে চাইলে ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘড়ি ধরে খাবার খান অনেকেই। অসময়ে খেয়ে যে ছিপছিপে থাকা যায় না, সে বিষয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও সময়মতো খাবার খেয়ে নিতে ভোলেন না। কিন্তু সময়ে খাবার খেয়েও ওজন বাগে আনতে পারেননি, এমন উদাহরণ রয়েছে। ওজনে রাশ টানতে সময়ে খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে সেটাই একমাত্র নয়। খাবার খাওয়ার ভুল ধরনও ওজন বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে থাকতে পারে। তাই খাবার খেতেও হবে নিয়ম মেনে। খাবার খাওয়ার সময়ে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চললে মাঝেমাঝে অসময়ে খাবার খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন?
ক্যালোরি ওজন বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারণ। ছবি: সংগৃহীত।
তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া
দ্রুত খাবার খেয়ে নিলে হয়তো সময় বাঁচে, কিন্তু তাতে রোগা হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। কম সময়ে খাবার খাচ্ছেন মানে ঠিক করে চিবিয়ে খাচ্ছেন না। তাতে হজমও ঠিক করে হচ্ছে না। খাবার হজম না হলে ডায়েট করেও কোনও লাভ হয় না।
অত্যধিক ভাজাভুজি খাওয়া
সময়ে খাচ্ছেন কিন্তু পাতে থাকছে লুচি, পরোটা, ডোবা তেলে ভাজা খাবার, তাহলে ওজন কমানো কঠিন। সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। তবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ক্যালোরি বেশি খাওয়া
বাড়িতে থাকলে ঘড়ি ধরে খাবার খাচ্ছেন, ডায়েট করছেন আর বাইরে বেরোলেই কামড় বসাচ্ছেন পিৎজা, বার্গারে? তা হলে শত চেষ্টাতেও ওজন কমানো সম্ভব নয়। এই ধরনের খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি। ক্যালোরি ওজন বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারণ।
ফাইবার না খাওয়া
রোগা হতে চাইলে ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। তেমনই পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকি়ৎসকেরা। কারণ ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। আর হজমের গোলমাল না থাকলেই ওজন বশে রাখা সম্ভব। ডায়েটে যদি ফাইবার না থাকে, তা হলে চেষ্টা বিফলে যেতে পারে।
অন্যমনস্ক থাকা
খাওয়ার সময়ে মনোযোগ সে দিকেই রাখতে হয়। খাবার খাওয়ার সময়ে অন্য কোনও কাজ করলে খাওয়ার পরিমাণে সব সময়ে রাশ টানা যায় না। অনেকেই খাবার খেতে খেতে টিভি দেখেন, গল্প করেন তাতে সময় ভাল কাটলেও বেশি খেয়ে নেওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।