কৃত্রিম চিনি দেওয়া এই সব পানীয় না খেয়ে প্রাকৃতিক ভাবেই কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক করে ফেলা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সপ্তাহান্তে একটা ছুটি। সকালে নাকে-মুখে গুঁজে একটু খেয়েই বেরিয়ে পড়েছেন। মাঝেমধ্যেই ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে। আবার কখনও চড়া রোদে কপাল চড়চড় করছে। একে ভ্যাপসা গরম, তার উপর আবার কড়া ডায়েটও করছেন। তাই চাইলেই রাস্তার পাশ থেকে রোল, চাউমিন, বার্গার কিংবা পিৎজ়া— যা খুশি খেয়ে ফেলতে পারছেন না। এ দিকে, অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে যে পরিমাণ ইলেকট্রলাইট বেরিয়ে যাচ্ছে, তাতে ক্লান্ত লাগা অস্বাভাবিক নয়। মাথা ঝিমঝিম করা, মাথা ঘোরার মতো লক্ষণও দেখা যায় অনেকের। অনেক সময় রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে গেলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। অনেকেই এই সময় ঠান্ডা নরম পানীয় খেতে পছন্দ করেন। চটজলদি ক্লান্তি কাটাতে এনার্জি ড্রিঙ্কও খেয়ে থাকেন অনেকে। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই অভ্যাস একেবারেই ভাল নয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কৃত্রিম চিনি দেওয়া এই সব পানীয় না খেয়ে প্রাকৃতিক ভাবেই কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক করে ফেলা যায়।
প্রোটিনজাতীয় খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
কোন কোন খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যেতে পারে?
১) মধু
হাতের কাছে যদি মধু থাকে, এক চামচ খেয়ে নিলেই ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ আগের জায়গায় ফিরে আসবে। বেশির ভাগ নরম পানীয়ে কৃত্রিম চিনি থাকে। তাই সেগুলি শরীরের জন্যে মোটেও ভাল নয়।
২) খেজুর
তৎক্ষণাৎ ক্লান্তি দূর করতে ব্যাগে সামান্য খেজুর রেখে দিন। কেনাকাটা করার ফাঁকে একটা-দুটো করে মুখে দিতে থাকুন। মুখে মিষ্টি কিছু থাকলে গলা শুকিয়ে যাবে না। আবার, সুগার ফল করে মাথা ঘোরার মতো সমস্যাও রুখে দেওয়া যাবে।
৩) কলা
কলায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তৎক্ষণাৎ ক্লান্তিবোধ কাটাতে বা শক্তি সঞ্চয় করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, কলায় রয়েছে পটাশিয়াম। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণ ভাবে কার্যকরী।
৪) প্রোটিনজাতীয় খাবার
দুধ, ডিম, মাংস বা মাছ দিয়ে তৈরি খাবারও রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে সাহায্য করে। নিরামিষ খাবার খেয়ে থাকেন যাঁরা, তাঁরা সয়াবিন, পনির কিংবা টোফু খেলেও একই রকম উপকার পাবেন।
৫) পর্যাপ্ত জল
শরীরে জলের ঘাটতি থেকেও অনেক সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। জলের বদলে আখের কিংবা অন্যান্য ফলের রস খাওয়া যেতে পারে।