বার্ধক্যেও সুস্থ থাকুন। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ এবং সচল থাকতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। সেই কারণেই নিয়মিত জিমে যান অনেকেই। সব বয়সেই সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা করা জরুরি। কিন্তু বয়স বাড়লে শরীরচর্চার ধরন বদলে যায়। কমবয়সে যে ব্যায়াম অনায়াসে করা যায়, বয়স বাড়লে শরীরচর্চার আগে দু’বার ভাবতে হয়। বুড়ো হাড়ে কোন ব্যায়াম কম ঝুঁকির, সেটা না জেনে শরীরচর্চা শুরু করলে মুশকিল হতে পারে। তবে কিছু ব্যায়াম বয়স্ককরা করতেই পারেন। নিয়ম করে সেগুলি করলে কোনও বার্ধক্যে ব্যথা-বেদনা থেকে দূরে থাকা যাবে। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
তাড়াসন
সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু'পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব রাখুন। শ্বাস নিন। হাত দুটোকে উপরে তুলে কাঁধের সমান সমান নিয়ে যান। এ বার আঙুল দিয়ে দুটো হাত জড়ান। হাতের তালু রাখুন বাইরের দিকে। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মাথার উপর দুটো হাত নিয়ে যান। পায়ের গোড়ালিগুলো মাটি থেকে উপরে তুলুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য রাখুন। এই অবস্থায় ৩ থেকে ১০ বার শ্বাস নিন। এ বার গোড়ালির নীচে নিয়ে আসুন। শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। দু’বার করতে পারেন এই ব্যায়াম।
ভুজঙ্গাসন
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু্ মেঝের উপর পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।
ভুজঙ্গাসন
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু্ মেঝের উপর পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।