সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তাতেই জানানো হয়, প্রতি তিন জন মহিলার মধ্যে এক জন এবং প্রতি পাঁচ জন পুরুষের মধ্যে এক জনের লং কোভিডের সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রায় ১৭০ লক্ষ ইউরোপীয় গত দু’বছর লং কোভিডের নানা উপসর্গের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী বহু বছর কোভিড সংক্রান্ত এমন নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে বাঁচতে হবে আরও অনেককে। এমনই সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সব দেশেই কোভিড পরবর্তী অসুস্থতাকে তাই আরও গুরুত্ব দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়। তারই সঙ্গে বলা হল, মহিলাদের লং কোভিডে ভোগার আশঙ্কা পুরুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তাতেই জানানো হয়, প্রতি তিন জন মহিলার মধ্যে এক জন এবং প্রতি পাঁচ জন পুরুষের মধ্যে এক জনের লং কোভিডের সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা রয়েছে।
আমেরিকার ‘ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন’-এর বিজ্ঞানীরা কোভিড সংক্রান্ত গবেষণা চালিয়েছেন। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে উঠে এসেছে আরও কিছু তথ্য। দেখা গিয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২১-এর মধ্যে লং কোভিডে ভোগার ঘটনা বেড়েছে প্রায় ৩০৭ শতাংশ। তথ্য বলছে, সারা বিশ্বে এখনও ১৪.৪ কোটি মানুষ লং কোভিডে নানা উপসর্গ নিয়ে ভুগছেন।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মতো সমস্যাকেও লং কোভিডের উপসর্গ বলে চিহ্নিত করেছে হু।
কোন উপসর্গ দেখলে সাবধান হতে বলছে হু?
শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, বিভ্রান্তির সমস্যা যদি বেশি দিন থাকে, তবে সতর্ক হতে হবে। কারণ এগুলিকে লং কোভিডের লক্ষণ বলেই মনে করে হু। অর্থাৎ, কাজ করতে অসুবিধা হলে, কারও কথা বোঝায় সমস্যা হলে, বার বার ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিলেও সচেতন হওয়া জরুরি। এর পাশাপাশি মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মতো সমস্যাকেও লং কোভিডের উপসর্গ বলে চিহ্নিত করেছে হু।
কোভিড সম্পর্কে বিশেষ ভাবে সচেতন থাকার আর্জি জানানো হয়েছে হু-র তরফে। অতিমারির সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যাই অতিক্রম করা যাবে জানার চেষ্টা এবং অন্যকে জানানোর দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে। এমনই বক্তব্য হু-র কর্তাদের।