শীতকালে জল কম খাওয়ার কারণে অনেকেই নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন। ছবি: সংগৃহীত
শীতে জল খাওয়ার পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। বছরের বাকি সময়ের তুলনায় শীতকালে তেষ্টাও কম পায়। ফলে আলাদা করে জল খাওয়ার কথা মনেও থাকে না। সারা দিনে জল খাওয়া প্রায় হয় না বললেই চলে। এ ভাবে শরীরে জলের অভাব ঘটে।
শরীর সুস্থ রাখতে জল খাওয়া জরুরি। শীতকালে তো আরও বেশি করে প্রয়োজন। কারণ এই মরসুমে শরীরের তরল পদার্থ তলানিতে এসে ঠেকে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে আরও বেশি করে জল দরকার। শীতকালে জল কম খাওয়ার কারণে অনেকেই নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে শীতকালে শরীর বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে। সেই শুষ্কতা দূর করতে জল খাওয়ার পাশাপাশি আরও কয়েকটি পানীয়ে ভরসা রাখতে পারেন। তাতে ভিতর থেকে সুস্থ থাকবে শরীর।
ভেষজ চা
এই চা শরীরের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এই সময়ে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়। তেষ্টাও অনেক কমে যায়। শরীরে জলও পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রবেশ করে না। তবে শরীর চাঙ্গা রাখতে মাঝেমাঝেই চুমুক দিতে পারেন ভেষজ চায়ে। এই চা পেশির ব্যথা কমায়। অনিদ্রা দূর করে। মানসিক ভাবেও শান্ত রাখে ভেষজ চা। এ ছাড়া গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর করতেও এই চায়ের জুড়ি মেলা ভার।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হলুদ দুধ খাওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ছবি: সংগৃহীত
হলুদ দুধ
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হলুদ দুধ খাওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। শরীর ভিতর থেকে উষ্ণ রাখে। ঘুমও ভাল হয়। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ শরীরে প্রদাহ দূর করে। শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও হলুদ দুধ সত্যিই উপকারী। তবে হলুদ সরাসরি শরীরের আর্দ্রতা ফেরাতে পারে না। দুধ সেই কাজটি করে। তবে সার্বিক সুস্থতার জন্য হলুদ কার্যকরী।
স্যুপ
সর্দি-কাশি যেন শীতের ছায়াসঙ্গী। এক বার হানা দিলে সহজে কমতে চায় না। এই সময়ে শরীরের আর্দ্রতা যেন আরও কমে যায়। তাই সুস্থ থাকতে স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। নানা রকম সব্জি দিয়ে তৈরি স্যুপ সর্দি-কাশির সময়ে স্বস্তি দেয়। পালংশাক দিয়েও স্যুপ তৈরি করে নিতে পারেন। শরীরের আর্দ্রতা বজায় ভরসা রাখতে পারেন স্যুপে।