ঘি খেয়েও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে! কী করে?
ঘি খেলেই নাকি মারাত্মক ওজন বেড়ে যায়! আর সেই কারণেই ঘিয়ের সঙ্গে আড়ি করেছেন। ডায়েটে ঘি রাখলেই মেদ জমে সারা শরীরে— এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘি খেলে একেবারেই ওজন বাড়ে না। বরং স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী ঘি। তবে তা সঠিক পরিমাণ ও সঠিক কায়দায় ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয়।
পাঁঠার মাংস হোক বা শুক্তো কিংবা শেষ পাতের পায়েস, রান্নায় এক চামচ ঘি পড়লেই তার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তবে খালি পেটে সকালে এক চামচ ঘি খেলে কী হতে পারে, সে খবর রাখেন কি?
১) আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, খাঁটি ঘিয়ের অনেক উপকারিতা। সকালে খালি পেটে ঘি খেলে হজম শক্তি ভাল হয়। সারা বছর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদেরও ক্ষেত্রেও ঘি দারুণ উপকারী।
২) মানসিক চাপ ও অবসাদের কারণে অনেকেরই রাতে ঘুম আসতে চায় না, ফলে সারা দিন ক্লান্তি ভাব থাকে। এক চামচ ঘি খেলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।
৩) বয়স বাড়লে অনেকেই গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পান। সেই ব্যথা কমাতেও ঘিয়ের উপর ভরসা রাখতেই পারেন।
প্রতীকী ছবি।
৪) ঘি-এ রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ আসতে দেয় না। ত্বক জেল্লাদার করে তোলে। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্যেও এটি দারুণ উপকারী।
৫) ঘি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। এই ফ্যাটি অ্যাসিড পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই বলাই যায় ঘি ওজন বাড়াতে নয়, ওজন ঝরাতে কার্যকর।
৬) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
কী ভাবে খাবেন?
গোলমরিচ এবং কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে নিন। এর পর একটি পাত্রে জল গরম করে তাতে বাটা মশলাটি দিয়ে ফুটতে দিন। এক চা চামচ ঘি মিশিয়ে দিন সেই জলে। এক মিনিট ধরে ফোটান। ভাল করে ছেঁকে নিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে খান এই চা।