চায়ের সঙ্গে তেজপাতা ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসকই। ছবি: সংগৃহীত
রান্না স্বাদ-গন্ধে অতুলনীয় করে তুলতে তেজপাতার জুড়ি মেলা ভার। পুষ্টিবিদরা বলছেন, তেজপাতায় রয়েছে কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্যালশিয়ামের মতো বিভিন্ন উপকারী উপাদান। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনও। ডায়াবিটিসের সমস্যায় তেজপাতা দারুণ কার্যকর। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও আরও অনেক শারীরিক সমস্যা দূরে রাখে তেজপাতা। বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও এর ঔষধি গুণের জন্য চায়ের সঙ্গে তেজপাতা ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসকই। তাঁদের মতে, এতে বাড়তি কিছু সুফল পাওয়া যায়।
তেজপাতা চা খেলে কী কী উপকার পেতে পারেন?
১) নিয়মিত এই চা পান করলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। টাইপ ২ ডায়াবিটিসের জন্য তেজপাতা খুবই কার্যকর।
২) শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতেও বেশ উপকারী তেজপাতা। রক্ত পরিশুদ্ধ করতে তেজপাতা ফোটানো চা খেতেই পারেন।
৩) খাবার হজম করার উৎসেচক ক্ষরণে তেজপাতা বেশ উপকারী। দ্রুত খাবার ছোট ছোট অংশে ভাঙতে পারে তেজপাতার রস। দীর্ঘ দিন যাঁরা হজমের গন্ডগোলে ভুগছেন, নিয়মিত তেজপাতা ভেজানো চা খেলে তাঁরা উপকার পেতে পারেন।
৪) ক্যাফেক অ্যাসিড থাকে বলে হৃদ্যন্ত্রকে শক্তিশালী করতে তেজপাতা বেশ কার্যকর। এ ছাড়াও কোলেস্টেরলে মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতেও তেজপাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতেও তেজপাতা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৫) তেজপাতায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি ক্ষত সারাতে দারুণ ভাবে কাজ করে। সর্দি-কাশির সময়ে এই চা খেলে যথেষ্ট আরামও পাওয়া যায়।