আমলকির গুণে সুস্থ থাকবে শরীর। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে জাঁকিয়ে বসে রোগবালাই। ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি তো আছেই, সেই সঙ্গে সংক্রমণ জাতীয় নানা সমস্যাও দেখা দেয়। শীত যদিও জাঁকিয়ে পড়েনি, তবে দীপাবলি পেরলেই ঠান্ডা পড়বে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তাই সতর্ক থাকতে দোষ নেই। শীতকালীন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে অন্যতম ভরসা হতে পারে আমলকি। সুস্থ থাকতে আমলকি সারা বছর খাওয়া যায়। কিন্তু শীতকালে ফিট থাকতে কেন রোজ একটি করে আমলকি খাবেন?
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আমলকিতে ভিটামিন সি আছে ভরপুর পরিমাণে। এই ভিটামিন সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করে শরীরকে। মরসুমি রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে ভিটামিন সি অনবদ্য ভূমিকা নেয়। তাই রোজ যদি একটি করে আমলকি খাওয়া যায়, তা হলে শারীরিক ভাবে ফিট থাকা সহজ হবে।
মানসিক অবসাদ দূরে রাখে
আমলকি শুধু শরীর নয়, যত্ন নেয় মনেরও। পলিফেনলস এবং ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান সমৃদ্ধ আমলকি মানসিক চাপ কমায়। উদ্বেগ, অবসাদের অন্যতম কারণ হল অক্সিডেটিভ হরমোনের অত্যধিক ক্ষরণ। এই হরমোন ক্ষরণে রাশ টানে আমলকি।
ত্বক এবং চুলের যত্নে
শীতে ত্বক প্রচণ্ড আর্দ্র হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে চুল ঝরার পরিমাণও বেড়ে যায়। ত্বক এবং চুলের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে আমলকিতে। রোজকার ডায়েটে আমলকি রাখলে যত্নে থাকে ত্বক। চুলের গোড়া মজবুত করতেও আমলকি খাওয়া জরুরি।
হজমের গোলমাল কমাতে
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। হজমের সমস্যা ঠেকাতে ফাইবারের জুড়ি মেলা ভার। শীতে হজমের গোলমাল খানিক বেশি হয়। সেখান থেকেই গ্যাস-অম্বল শুরু হয়। সে সবের ঝুঁকি কমাতে গ্যাসের ওষুধ না খেয়ে রোজ একটি করে আমলকি খেতে পারেন।
আমলকি বিভিন্ন ভাবে খেতে পারেন। কাঁচা খাওয়া যায়, রস করেও খেতে পারেন। স্যালাডেও কিন্তু রাখতে পারেন আমলকি। তবে যে ভাবেই খান, প্রতি দিন যদি আমলকি খেতে পারেন, তা হলে শীতকালীন অনেক রোগবালাই থেকেই দূরে থাকা সম্ভব।