শীতকালে অবশ্য ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কিছু কারণ রয়েছে। প্রতীকী ছবি।
শীতকালে ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে অনেকেরই। শীত পড়ল কি পড়ল না, শুরু হয়ে গেল হাঁচি, কাশি, সর্দি। মাথা ভার, গলাব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব— অনেকেরই শীত কাটছে এগুলি নিয়ে। সেই সঙ্গে রয়েছে করোনার ভয়। চিনের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। করোনার হানায় ফের কি বিপর্যস্ত হতে চলেছে জনজীবন? এই প্রশ্নই যেন ঘুরপাক খাচ্ছে মনে।
জ্বর, সর্দিকাশি, গলা খুসখুস— মরসুমি সংক্রমণ আর করোনার লক্ষণগুলি মধ্যে খুব তফাত নেই। তবে সব ঠান্ডা লাগাই যে করোনা, তা কিন্তু নয়। করোনা হলে লক্ষণগুলি অনেক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সাধারণ ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে তা দু’-চার দিনেই সেরে যায়। তবে যে কারণেই ঠান্ডা লাগুক, তা এড়িয়ে গেলে চলবে না। সতর্ক এবং সুরক্ষিত দুই-ই থাকতে হবে। আবার সাধারণ ঠান্ডা লাগায় শরীরের উপসর্গগুলি অবহেলা করলেও চলবে না। বাড়িতে কিংবা অফিসে— শীতকালে সারা ক্ষণ গরম পোশাকে জড়িয়ে রাখলেও ঠান্ডা লেগেই যায়। শীতকালে অবশ্য ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কিছু কারণ রয়েছে।
যে সব খাবারে ভিটামিন ডি আছে, শীতে সুস্থ থাকতে এমন খাবার বেশি করে খান। প্রতীকী ছবি।
প্রতিরোধ ক্ষমতা কম
শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তুলনায় কম থাকলে, ঠান্ডা লাগার মতো নানা রোগবালাই সহজে হানা দেয় শরীরে। সুরক্ষিত থাকলেও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়। রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি কমে যায় মূলত শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে। অপর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক অবসাদও এর কারণ। তাই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ঠিক করে ঘুমোনো প্রয়োজন। শরীরচর্চাও করতে হবে নিয়ম মেনে।
সঠিক সুরক্ষার অভাব
শীতকালীন ঠান্ডা লাগা থেকে দূরে থাকতে সাবধানে তো থাকছেন। কিন্তু সেই সুরক্ষায় কোনও ঘাটতি নেই তো? শুধু গরম পোশাক পরলেই ঠান্ডা লাগা আটকানো যায় না। করোনার সময়ে যে সুরক্ষাবিধি মেনে চলেছিলেন, সর্দিকাশি থেকে দূরে থাকতে সেগুলিও মাথায় রাখা উচিত। ভিড় এড়িয়ে চলুন, মাস্ক ব্যবহার করুন, হাত পরিষ্কার বজায় রাখুন।
শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব
রোগবালাই থেকে দূরে রাখতে ভিটামিন ডি দারুণ কার্যকর। কিন্তু শীতকালে সূর্যের আলো খুব কম সময়ের জন্য থাকে। সূর্যের আলো হল ভিটামিন ডি-র উৎস। ফলে এই মরসুমে সূর্যালোক থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি শোষণ করতে পারে না শরীর। এ কারণে প্রতিরোধশক্তি অনেক কমে যায়। তাই যে সব খাবারে ভিটামিন ডি আছে, শীতে সুস্থ থাকতে এমন খাবার বেশি করে খান।