গ্রিন টি আর গোলমরিচের জুটি ‘হিট’। ছবি: সংগৃহীত।
দুধ কিংবা লিকার চা নয়, সকাল থেকে রাত চুমুক দেন গ্রিন টিতে। গ্রিন টি-র প্রতি প্রেম আছে অনেকেরই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রিন টি জনপ্রিয়। তা ছাড়া এই চায়ের বহু স্বাস্থ্যগুণ। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বাইরে বার করে দিতেও এর জুড়ি মেলা ভার। গ্রিন টি পেটের গোলমালের ঝুঁকি কমায়। হার্টের কোনও সমস্যা থাকলে গ্রিন টি খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমাতেও গ্রিন টি সত্যিই উপকারী।
তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, গ্রিন টি আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে, যদি এতে মেশান গোলমরিচের গুঁড়ো। গ্রিন টি-র মতো গোলমরিচও বহু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। গোলমরিচে থাকা ‘পিপারিন’ শরীরে পুষ্টিগুণ এবং ‘ফাইটোকেমিক্যালস’ শোষণে সাহায্য করে। গোলমরিচের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান শরীরে দূষিত পদার্থ জমতে দেয় না। শরীরের ‘অক্সিডেটিভ’ স্ট্রেস কমায় এবং গোলমরিচ ঝুঁকি কমায় ক্যানসারেরও। গোলমরিচের স্বাস্থ্যগুণের তালিকা দীর্ঘ। এই উপকারী উপাদানটি গ্রিন টি-এ মিশিয়ে খেলে কী সুফল পাওয়া যাবে?
গ্রিন টি এবং গোলমরিচ— উভয়েরই নিজস্ব স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। এই দু’টি উপকরণ যদি একসঙ্গে খাওয়া যায়, তা হলে শরীর কিছু অনবদ্য সুফল পাবে। দু’টিতে রয়েছে ‘বায়োঅ্যাক্টিভ’ উপাদান, যা অনেক শারীরিক সমস্যার একমাত্র দাওয়াই। গ্রিন টি-এ ‘ক্যাচিন’ থাকায় প্রদাহজনিত সমস্যা দূর হবে। অন্য দিকে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও গ্রিন টি-এ গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন। শ্বাসজনিত সমস্যা থাকলেও গ্রিন টি আর গোলমরিচের জুটি অন্যতম দাওয়াই হতে পারে। আবহাওয়া বদলানোর সময় সর্দিকাশি, ঠান্ডা লাগা, জ্বর লেগেই রয়েছে। ব্রঙ্কাইটিস, সাইনাস থেকে সুস্থ হতে গোলমরিচ এবং গ্রিন টি-এর জুটি সত্যিই কার্যকরী। স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি এড়াতেও গ্রিন টি-এর সঙ্গে গোলমরিচ খেতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, অ্যালঝাইমার্স-এর ঝুঁকি কমাতেও গ্রিন টি আর গোলমরিচ ভাল দাওয়াই।