ঋতুস্রাবের সময়ে অন্য কোনও খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হলেও চকোলেটের প্রতি যেন আলাদা প্রেম জন্মায়। ছবি: সংগৃহীত।
মাসের কয়েকটি দিন অস্বস্তিতে কাটে মহিলাদের। ঋতুস্রাব চলাকালীন সঙ্গী হয় শারীরিক যন্ত্রণা। কোমরে ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, গা গোলানো— এমন নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে কাটে কয়েকটি দিন। সেই সঙ্গে খেতে ইচ্ছা না করা একটি অন্যতম সমস্যা। এই সময়ে অন্য কোনও খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হলেও চকোলেটের প্রতি যেন আলাদা প্রেম জন্মায়। ঋতুস্রাবের সময় কেন বাড়ে চকোলেট খাওয়ার ইচ্ছা?
ঋতুস্রাবের সময় কেন বাড়ে চকোলেট খাওয়ার ইচ্ছা? ছবি: সংগৃহীত।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীর খুব ক্লান্ত হয়ে পড়লে অনেক সময়ে চকোলেট খেতে ইচ্ছা করে। ঋতুস্রাবের আগে এবং পরে চকোলেট খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় শরীরে হরমোনের সামঞ্জস্য বজায় না থাকলে। ঋতুস্রাব শুরুর ঠিক আগে প্রোজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণ হয়। যার ফলে খিদে বাড়ে। পাশাপাশি, এই সময়ে সেরাটোনিন হরমোন ক্ষরণ কমে এবং কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। যার ফলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। আর মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শরীরে হরমোনের ওঠানামার কারণেই তৈরি হয় রক্তচাপ। তখনই চকোলেট খাওয়ার ইচ্ছা জন্মায়। চকোলেট, মিষ্টি কিংবা পেস্ট্রির মতো খাবার খেলে সেরাটোনিন হরমোন বাড়ে। একসঙ্গে মানসিক চাপও কমে। তাতেই ফের মন ভাল হয়ে যায়।
ঋতুস্রাবের সময়ে চকোলেট খাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে অন্য অনেক মতও রয়েছে। পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, চকোলেট খাওয়ার ইচ্ছার সঙ্গে হরমোনের কোনও সম্পর্ক নেই। ঋতুস্রাবের সময়ে যে সকলেরই চকোলেটের প্রতি বাড়তি টান জন্মায়, এমন নয়। ডায়েট করেন কিংবা মিষ্টি খেতে ভালবাসেন না, এমন অনেকেই ঋতুস্রাবকালীন সময়েও চকোলেট থেকে দূরে থাকেন। আবার যাঁরা মিষ্টি খেতে ভালবাসেন, তাঁরা চকোলেটে খেতে বেশি আগ্রহ দেখাতেই পারেন। তার সঙ্গে হরমোনজনিত কোনও প্রভাব নেই।