মহিলারা কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন। প্রতীকী ছবি।
কর্মব্যস্ততার কারণে নিজের দিকে তাকানোর সময় পান না অনেকেই। ব্যস্ততা, কাজের চাপ, জীবনের নানা জটিলতায় আলাদা করে নিজের খেয়াল রাখার সুযোগ থাকে না সব সময়। দীর্ঘ দিনের অনিয়ম আর অবহেলার হাত ধরে দেহে বাসা বাঁধে নানা রোগ। সব সময় শরীরের অন্দরে কোন রোগ বাসা বাঁধছে তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। বিশেষ করে কিডনিতে সমস্যা তৈরি হলে তা পড়ে অনেক দেরিতে। ইদানীং কিডনির রোগ বেশি করে ধরা পড়ছে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, মহিলারা কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন। এ ছা়ড়াও কিডনি সংক্রান্ত অন্যান্য রোগ হওয়ার প্রবণতাও মহিলাদেরই বেশি।
হরমোনের পরিবর্তন, দৈনিক অনিয়ম, সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া— কিডনি সংক্রান্ত অসুস্থতার নেপথ্যে কারণ মূলত এগুলিই। এ ছাড়াও আরও ৩টি কারণে মহিলারা কিডনি রোগে বেশি ভুগে থাকেন।
মূত্রনালির সংক্রমণ
‘ইউটিআই’ মহিলাদের মধ্যে খুবই সাধারণ একটি রোগ। মূত্রনালির সংক্রমণের হাত ধরেই কিডনির সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। মূত্রনালিতে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের কারণেই মূলত এমন হয়। সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা না করলে এই সংক্রমণের আঁচ গিয়ে পৌঁছয় কিডনিতেও।
পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ়
‘পিকেডি’ হল কিডনিতে হওয়া এক ধরনের সিস্ট। পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই এই সিস্ট হতে পারে। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে সেই আশঙ্কা কিছুটা বেশি। তলপেটে ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, মূত্রের সঙ্গে রক্ত বার হওয়া— কিডনিতে সিস্ট হওয়ার মূল লক্ষণ এগুলিই। সিস্টের কারণে কিডনিতে নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে।
ক্রনিক কিডনি ডিজি়জ়
৩০ পেরোনো মহিলাদের মধ্যে এই রোগ সবচেয়ে বেশি করে দেখা দেয়। বিশেষ করে যাঁদের ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে, এই রোগের ঝুঁকি তাঁদের ক্ষেত্রে বেশি। কিডনি সংক্রান্ত এই ধরনের রোগ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।