অনেকেই জুতোর সঙ্গে মোজা পরাটা একটা ঝক্কি বলে মনে করেন। প্রতীকী ছবি।
ধীরে ধীরে জাঁকিয়ে শীত পড়তে শুরু করেছে। কয়েক দিন আগেও হালকা একটা চাদর গায়ে চাপিয়ে বাইরে বেরোনো যেত। এখন তার উপায় নেই। রীতিমতো সোয়েটার, টুপি, পা ঢাকা জুতো এবং মোজা পরে তার পর বেরোতে হচ্ছে। অনেকেই আবার জুতোর সঙ্গে মোজা পরাটা একটা ঝক্কি বলে মনে করেন। স্নিকার্স কিংবা পাম্প শ্যু, কোনও কিছুর সঙ্গে মোজা পরেন না। ঠান্ডাতে পা জমে গেলেও মোজা সেই আলমারিতেই তোলা থাকে। ঠান্ডার সংস্পর্শ থেকে পায়ের পাতা সুরক্ষিত রাখতেই মূলত মোজা পরা হয়। মোজার আড়ালে থাকলে পা ফাটার আশঙ্কা কমে। কিন্তু মোজা না পরলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পা খসখসে হয়ে যেতে পারে
শীতকালে এমনিতেই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। নানা কারণে মাঝেমাঝেই ত্বকে দেখা দেয় র্যাশ, চুলকানি। তাই এই সময় খুব সাবধানে থাকা জরুরি। মোজা ছাড়া জুতো পরলে এই আশঙ্কা থাকে। অনেকের পায়ের ত্বক খুব স্পর্শকাতর হয়। রাস্তায় হাঁটাচলার সময় ধুলোবালির সংস্পর্শে এসে পায়ের ত্বক আরও খসখসে হয়ে যায়। এ ছা়ড়া সংক্রমণের ভয় থাকে। মোজা পরা থাকলে তা হয় না।
মোজা না পরলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতীকী ছবি।
রক্ত চলাচলে সমস্যা
মোজা ছাড়া জুতো পরার সঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের একটা সম্পর্ক রয়েছে। মোজা না পরে শুধু জুতো পরলে পায়ের বিভিন্ন অংশে সরাসরি চাপ পড়ে। কোথাও বসে থাকলে আলাদা ব্যাপার। কিন্তু হাঁটাচলা করলে এই সমস্যা আরও বেশি করে দেখা দেয়। এই চাপের ফলে রক্ত চলাচল মাঝেমাঝেই ব্যাহত হয়। মোজা পরা থাকলে তা-ও সরাসরি পায়ে চাপ পড়ে না। তাতে কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকে পা।
ফোস্কার ভয় থাকে না
নতুন জুতো পরে ফোস্কা পড়ার ঘটনা নতুন নয়। গরমকালে মোজা পরাটা বেশ কষ্টকর। কিন্তু শীতে তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। নতুন জুতো পরে বাইরে বেরোলে মোজা পরে নেওয়াটা জরুরি। তা হলে নতুন জুতো পায়ে দিয়ে দীর্ঘ পথ হাঁটলেও ফোস্কা পরার ভয় নেই।
ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ভয়
শীতকালে ঘাম কম হলেও, একেবারে হয় না, এমন নয়। গবেষণা বলছে, প্রতি দিন প্রায় কয়েক মিলিলিটার ঘাম বার হয় পা থেকে। মোজা পরলে তা-ও অত্যধিক পা ঘামার সুযোগ থাকে না। মোজা না পরলে পায়ের ঘাম পায়েই শুকিয়ে যায়। এই ঘাম থেকে ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়। যেগুলি থেকে পায়ের ত্বকে র্যাশ, চুলকানি হতে পারে।