শরীরে আর্দ্রতা কমলে হঠাৎ হঠাৎ এই টান ধরার সমস্যা হতে পারে। প্রতীকী ছবি।
অনেক ক্ষণ ধরে এক জায়গায় বসে আছেন। হাঁটাচলা শুরু করতেই টান ধরল পায়ের পেশিতে। পায়ে টান ধরার এই সমস্যা মূলত শীতকালেই বেশি দেখা যায়। কখনও আবার হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই বেঁকে যায় পায়ের আঙুল। একসঙ্গেই হাত ও কোমরের পেশিতেও টান ধরে সেই সময়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরে আর্দ্রতা কমলে হঠাৎ হঠাৎ এই টান ধরার সমস্যা হতে পারে।
গ্রীষ্মকালে শরীর সবচেয়ে বেশি ঘামে। ফলে ঘামের মাধ্যমে শরীরে থাকা জল বেরিয়ে যায়। তখন জলের ঘাটতি শুরু হয়। শীতে শরীরে জলের ঘাটতির অন্য কারণ রয়েছে। কারণ, এ মরসুমে জল খাওয়ার প্রবণতা একেবারে কমে যায়। এ ছাড়াও শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং পটাশিয়ামের স্বল্পতার কারণেও পেশিতে টান ধরতে পারে।
রাস্তাঘাটে চলতে-ফিরতে অনেক সময়ে টান লাগলে কিছু করার থাকে না। কিন্তু এই টান যাতে না লাগে, তার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি দরকার।
১) হাত, পা,আঙুল কিংবা কোমরে ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে আক্রান্ত স্থান ও তার চারপাশে আঙুলের চাপে মালিশ করতে পারেন। এমন ভাবে মালিশ করতে হবে, যাতে শক্ত হয়ে যাওয়া পেশি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। তবে খুব বেশি জোরে জোরে মালিশ করার দরকার নেই। তাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে।
এই টান যাতে না লাগে, তার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি দরকার। প্রতীকী ছবি।
২) পায়ে টান ধরলে মালিশের পরে জায়গাটা একটু স্বাভাবিক হলে খুব কম চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। অন্য কোনও ব্যায়াম এই সময় না করাই ভাল। পা লম্বা করে ছড়িয়ে দিলে পেশিগুলি নমনীয়তা ফিরে পাবে।
৩) যেখানে টান ধরেছে, সেখানে গরম জলের ব্যাগ রাখুন। দশ সেকেন্ড রাখার পর সেখানে বরফ সেঁক দিন। ফের দশ সেকেন্ড পর গরম জলের ব্যাগ। এ ভাবে ঠান্ডা ও গরম সেঁক দেওয়া চালিয়ে যান যত ক্ষণ না আরাম পাচ্ছেন।
৪) যেখানে টান লেগেছে, সেখানে হলুদ গুঁড়ো ও ফটকিরি একসঙ্গে বেটে নিয়ে লাগান। মালিশ করার প্রয়োজন নেই। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।