ছবি: সংগৃহীত।
সারা সপ্তাহ সময় না পেলেও ছুটির দিন ঘরবাড়ি সাফাই অভিযানে নামেন অনেকেই। সোম থেকে শনি সময়ের অভাবে যে কাজগুলি করা হয় না, ছুটির দিনে সেগুলি করতে করতেই সময় কেটে যায়। একটানা ধোয়ামোছার পর দু’হাতের তালু দেখলে একটু অন্য রকম লাগে? অনেকেই একবাক্যে হ্যাঁ বলবেন। কারণ দীর্ঘ ক্ষণ জল ঘাঁটলে হাতের চামড়া কুঁচকে যায়। আঙুলের মাথার দিকের চামড়াও গুটিয়ে যায়। সামনেই শীতকাল। ঠান্ডার মরসুমেই এমনটা সবচেয়ে বেশি হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে বছরের যে কোনও সময় বেশি ক্ষণ জল ঘাঁটলেই চাম়ড়া কুঁচকে যায়। কিন্তু কেমন হয়, সেটা কি জানেন?
চিকিৎসক সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘চামড়ার উপরিভাগে সিবাম নামক একটি তৈলাক্ত পদার্থ রয়েছে। এই সিবামের কাজ হল চামড়া সুরক্ষিত রাখা। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা। যাতে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে না যায়। শুধুমাত্র হাতের নয়, অতিরিক্ত জল ঘাঁটলে পায়ের ত্বকও কুঁচকে যায়। তবে কিছু ক্ষণ পরই আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।’’
জল ঘাঁটার পর এমন হাত-পা কুঁচকে যাওয়ার সমস্যায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকেই। চামড়া কুঁচকে যাওয়ার পর অনেকেরই মনে হয়, কোনও শারীরিক সমস্যার কারণেই এমন হচ্ছে বোধ হয়। তবে চিকিৎসকেরা সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, আঙুলের চামড়া কুঁচকে যাওয়া একটি স্নায়বিক প্রতিক্রিয়ারই অংশ। তবে হাত বা পায়ের স্নায়ু সচল না থাকলে এমন হয় না। বরং স্নায়ুজনিত কোনও সমস্যা থাকলেই এই স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া থাকে না। কোনও কারণে স্নায়ু যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে জলের সংস্পর্শে আসার ফলেও তেমন কোনও পরিবর্তন চোখে পড়ে না। তাই জল ঘাঁটার কারণে যদি চামড়া কুঁচকে গিয়ে থাকে, তা নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক।