জেএন.১ কেন ভয়ের কারণ মনে হচ্ছে বিজ্ঞানীদের? ছবি: সংগৃহীত।
কোভিড ১৯-এর নয়া রূপ জেএন.১ নিয়ে বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানীরা বেশ উদ্বিগ্ন। কোভিডের এই নয়া রূপ নাকি আরও বেশি সংক্রামক হতে পারে। কোভিডের টিকাও এই প্রতিরূপকে প্রতিরোধ করতে পারবে না বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) রিপোর্ট অনুসারে, সম্প্রতি আমেরিকা এবং অন্য ১১টি দেশে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের জেএন.১ প্রতিরূপের খোঁজ মিলেছে। কোভিডের এই নয়া রূপের বাড়বাড়ন্ত আবারও চিন্তা বাড়িয়েছে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী মহলে।
২০২৩ সালের ২৫ অগস্ট লাক্সামবার্গে সবার প্রথম কোভিডের জেএন.১ প্রতিরূপের হদিস মেলে। তার পরে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও আমেরিকাতেও এর হদিস মিলেছে। বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছে, কোভিডের নতুন প্রতিরূপটি বিএ.২.৮৬-এর বংশধর যা পিরোলা নামেও পরিচিত। এর উৎপত্তি মূলত ওমিক্রন থেকেই। তবে কোভিডের এই নয়া রূপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন একেবারেই কম।
সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকা-সহ পাশ্চাত্যের একাধিক দেশে কোভিডের এক্সবিবি.১.৫ প্রতিরূপে সংক্রমিত হচ্ছিলেন অধিকাংশ মানুষ। সে কথা মাথায় রেখে টিকার বুস্টার ডোজ় তৈরি করা হয়েছিল। তবে আগের প্রতিরূপগুলির তুলনায় জেএন ১ অনেকটাই রূপ বদলে ফেলেছে। নতুন ধরনের স্পাইক প্রোটিন শক্তি বাড়িয়েছে কোভিডের এই নয়া প্রতিরূপের। এই রূপ অতিসংক্রামক এবং একসঙ্গেই এক বার শরীরে বাসা বাঁধলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করতে সক্ষম। এই রূপ দেখে কোভিডের বুস্টার টিকার মান আরও উন্নত করতে হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা।