ছবি: সংগৃহীত।
এমনিতে বিস্কুট খেতে চান না। কিন্তু চায়ের সঙ্গে আবার বিস্কুট বা কুকিজ় না হলে চলে না। অথচ বিস্কুট ময়দা দিয়ে তৈরি। তাই পুষ্টিবিদেরা অতিরিক্ত বিস্কুট খেতে বারণ করেন। সঙ্গে থাকে চা। বিশেষ করে যাঁদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই জুটি একেবারেই ভাল নয়। চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেলে আর কী কী সমস্যা হতে পারে?
১) বিস্কুটেও চিনি থাকে। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ করে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন, তাঁদেরও বিস্কুট খেতে বারণ করা হয়। শিশুদের অতিরিক্ত বিস্কুট খাওয়ার প্রবণতা টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়়িয়ে তোলে।
২) ময়দা এবং চিনি রয়েছে বিস্কুটে। এই দু’টি উপাদানে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালোরি রয়েছে। তবে কোনও পুষ্টি নেই। তাই এগুলি ‘শূন্য’ ক্যালোরি বলেই বিবেচিত হয়। তাই বিস্কুট বেশি খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
৩) প্রায় সব ধরনের বিস্কুট বা কুকিজ়ে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। যা রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে এমনটা চলতে থাকলে হার্টের গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪) ময়দায় ফাইবার প্রায় নেই বললেই চলে। বেশি বিস্কুট খেলে পেটের স্বাস্থ্য একেবারেই ভাল থাকবে না। খালি পেটে ময়দা দিয়ে তৈরি বিস্কুট এবং চা খেলে হজমের গোলমাল কেউ রুখতে পারবে না। সঙ্গে চা খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যাও বৃদ্ধি পাবে।
৫) বেশি বিস্কুট খেলে দাঁতের সমস্যা বাড়বে। বিস্কুট চটচটে প্রকৃতির হয়। তাই বিস্কুট খেয়ে ভাল করে মুখ না ধুলে কিন্তু দাঁত ক্ষয়ে যেতে পারে।