সাফল্য নিশ্চিত হবে কিসে, অনুরাগীদের কাছে ফাঁস করলেন দিলজিৎ। ছবি: সংগৃহীত।
লন্ডন, নিউ ইয়র্ক-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য অনুরাগীর মন জয় করে পঞ্জাবি পপ গায়ক দিলজিৎ দোসঞ্জ এ বার গানের কনসার্টের সফর শুরু করেছেন ভারতে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে শনিবার এবং রবিবার এই স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল দিলজিতের ‘দিল-লুমিনাটি’ অনুষ্ঠান। দু’দিনই প্রায় ৪০ হাজার করে দর্শক এসেছিলেন দিলজিতের গান শুনতে। গান তো ছিলই, এর পাশাপাশি অনুষ্ঠান চলাকালীন অনুরাগীদের বিশেষ বার্তাও দিয়েছেন তিনি। গায়ক বলেন, ‘‘সকালে অন্তত ১০ মিনিট নিজের সঙ্গে সময় কাটান।’’
গায়ক সকল অনুরাগীদের পরামর্শ দেন, সকালে নিজের সঙ্গে কথা বলার জন্য, নিজেকে নিয়ে ভাবার জন্য। দিলজিৎ বলেন, ‘‘আপনি জীবনে যা চাইবেন, তাই পাবেন। সকালে চোখ খুলেই আগে মোবাইল দেখা বন্ধ করুন, আমি অনুরোধ করছি সকালে অন্তত ১০ মিনিট নিজের সঙ্গে কথা বলুন। সেই সময়টায় নিজের জন্য যা ইচ্ছে করতে পারেন। যোগাসন থেকে ধ্যান— যা মন চায়, তাই করুন। দেখুন, আমি এক জন গ্রামের ছেলে, তবুও আমার কনসার্টের সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়েছে।’’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে দিলজিৎ নিজের সাফল্যের রহস্যটি ফাঁস করেছেন।
সকালে চোখ খোলার পর অনেকেরই প্রথম কাজ মোবাইল ডেটা চালু করা। আর সেটা করা মাত্রই একে একে ঢুকতে থাকে হোয়াট্সঅ্যাপ, অফিসের মেল, সমাজমাধ্যমের নোটিফিকেশন। কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবেন, বুঝতে গিয়ে হিমসিম খেয়ে যান। মোদ্দা কথা, সকাল শুরুই করেন জটিলতা দিয়ে। আপনি হয়তো সকাল সকাল কাজে ঢুকে পড়ে আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন। কিন্তু অজান্তেই সারা দিনের কাজের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। সঙ্গে চোখেরও ক্ষতি করছেন। প্রভাব পড়ছে জীবনযাপনেও। সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল ঘাঁটার এই অভ্যাস কতটা ক্ষতিকর?
১) সাতসকালে চোখ না ধুয়ে ফোন ঘাঁটা একদমই উচিত নয়। ফোনের নীল আলো আপনার চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া রশ্মি চোখের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সারা দিন মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
২) চোখের ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঘাত ঘটে কাজেরও। সকালে উঠেই যদি আপনি আপনার সারা দিনের কাজের তালিকা নিয়ে ভাবতে থাকেন, অথবা সমাজমাধ্যমে আপনার চারপাশের মানুষের কার্যকলাপের খবর পেতে থাকেন, এতে আপনার মানসিক স্থিতি কমতে থাকে। এই খবরগুলি আপনার অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়। কোনও কাজের প্রতি মন দিতে দেয় না।
৩) সকালে উঠেই আপনি মোবাইল থেকে যে সব খবরাখবর পান, সেই সব খবর আপনার মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। আর সকাল সকাল দিনটা অত্যধিক চাপের মধ্যে দিয়ে শুরু হলে বাকি গোটা দিনও মাথায় সেই চিন্তাই চলতে থাকবে সর্ব ক্ষণ।
মোবাইল দেখার বদল কী কী করতে পারেন?
যাঁরা মানসিক চাপে ভুগছেন, তাঁরা সকালে উঠে নিয়মিত ধ্যান করতে পারে। সঠিক নিয়ম মেনে ধ্যান করলে মনমেজাজ চাঙ্গা থাকে, উদ্বেগ কমে। এ ছাড়া ঘুম থেকে উঠে যোগাসন, শ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন, প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে পারেন, সূর্যের আলোয় হাঁটাচলা করতে পারেন।