কর্নফ্লেক্স, রুটি, পাউরুটি— এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি। ছবি-সংগৃহীত
তাড়াহুড়ো থাকলে অনেকেই জলখাবারে আলাদা করে কিছু বানান না। দুধ-কর্নফ্লেক্স খেয়ে নেন। ছুটির দিনে আবার সকালের জলখাবারে অনেকেরই রুটি থাকে। কর্নফ্লেক্স, রুটি, পাউরুটি— এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত এমন খাবার খালি পেটে না খাওয়াই ভাল। রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলেন। সব ক্ষেত্রে তা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কারণ শরীরে কার্বোহাইড্রেটেরও দরকার আছে। তাই বলে দিনের প্রথম খাবারটা কার্বোহাইড্রেটযুক্ত না হওয়াই ভাল। কার্বোহাইড্রেট ডোপামিন, কর্টিসলের মতো ‘ফিল গুড’ হরমোন ক্ষরণেও প্রভাব ফেলে। ফলে সারা দিন মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার চেয়ে সকালের জলখাবারে রাখুন প্রোটিনযুক্ত খাবার। সারা দিন শরীর থাকবে চনমনে ও চাঙ্গা।
ছুটির দিনে আবার সকালের জলখাবারে অনেকেরই রুটি থাকে। ছবি-সংগৃহীত
কার্বোহাইড্রেটযু্ক্ত খাবার সকালে খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
১) সকালে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেলে পেটের মেদ বাড়তে পারে।
২) প্রোটিনের মতো দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে পারে না কার্বোহাইড্রেট। বার বার খিদে পায়। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
৩) সকালের খাবারের উপর নির্ভর করে সারা দিন শরীরের হাল কেমন থাকবে। সারা দিন চনমনে থাকতে চাইলে দিনের শুরুটা যেন কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার দিয়ে না হয়।
৪) গ্যাস, অম্বলের সমস্যা থাকলে ভুলেও কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার সকালে খাবেন না। এতে গ্যাস, বদহজমের মতো অসুস্থতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
সুস্থ-সবল থাকতে সকালের জলখাবার কেমন হওয়া জরুরি?
১) সকাল শুরু করুন এক গ্লাস জল দিয়ে।
২) জলখাবারে রাখুন ডিম সেদ্ধ, কাঠবাদাম, মরসুমি ফলের মতো স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার।
৩) ভারী কোনও জলখাবার খেতে চাইলে প্রোটিনযুক্ত খাবার খান। চিয়া বীজের পুডিং, দোসা, সব্জি দিয়ে তৈরি ওটস কিংবা ইডলি খেতে পারেন।