কিছু না খেয়ে শরীরচর্চা করেন? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে তেমন কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। ভরা পেটে শরীরচর্চাও করা যায় না। তাই কিছু না খেয়েই কসরত করেন। অনেকেই মনে করেন, এই অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে তাড়াতাড়ি মেদ ঝরবে। ছিপছিপে হওয়ার লক্ষ পূরণে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকা যাবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে এই ‘ফাস্টেড এক্সারসাইজ’ বেশ জনপ্রিয়। যদিও প্রশিক্ষকেরা বলছেন, খালি পেটে শরীরচর্চা করলে কিছু ক্ষেত্রে মেদ দ্রুত ঝরে। তার পিছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে।
শরীরচর্চা করতে যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন হয়, তা জোগান দেয় কার্বোহাইড্রেট। সকালে খাবার না খেলে তৎক্ষণাৎ কার্বোবাইড্রেট পাওয়া মুশকিল হয়। সেই সময়ে শরীর জমে থাকা মেদ পুড়িয়ে ক্যালোরি তৈরি করে নেয়। ফলে মেদ ঝরতে বাধ্য হয়। তবে এই ফিকির যে সকলের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে, এমনটা কিন্তু নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শরীরের অবস্থা বুঝে এই ধরনের শরীরচর্চা করা যেতে পারে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন উল্টোটাই। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে পেশি ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। বরং পেশির আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকলে পেশির উপর অত্যধিক চাপ পড়তে পারে। টিস্যু বা লিগামেন্ট ছিঁড়ে বিপদ ঘটতেই পারে। আবার, কিছু না খেয়ে জিম বা যোগাসন করলে হরমোনের মাত্রাতেও হেরফের ঘটতে পারে। এই হরমোন কিন্তু বিপাকক্রিয়া এবং পেশির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আর কী কী বিপদ হতে পারে?
রক্তে শর্করা মাত্রা কমে গেলে শরীরচর্চা করার সময়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকে। বয়স ৫৫ বছরের বেশি হলে অবশ্যই অল্প কিছু খেয়ে শরীরচর্চা করতে হবে। পেট খালি থাকলে অনেকে বেশি ক্লান্ত হয়ে খুব বেশি ব্যায়াম করতে পারবেন না। তাই অর্ধেক কলা বা একটা সেদ্ধ ডিম খেয়েও শরীরচর্চা করতে পারেন।