PCOS

কী ধরনের খাবার খেয়ে ‘পিসিওএস’-এর মতো রোগ ঠেকিয়ে রাখা যায়?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, সারা বিশ্বে পাঁচ জনের মধ্যে এক জন ভারতীয় নারী এই অসুখে ভুগছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৩ ১৪:০৫
Share:

পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ‘পিসিওএস’ কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া সম্ভব। ছবি- সংগৃহীত

সারা আলি খান, সোনম কপূর, শ্রুতি হাসান— বলিউডের অনেক তারকাই পিসিওএসের সমস্যায় ভুগছেন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)-র সমীক্ষা বলছে, সারা বিশ্বে পাঁচ জনের মধ্যে এক জন ভারতীয় নারী এই অসুখে ভুগছেন। ‘পিসিওএস’ দেখা দিলে ডিম্বাশয় থেকে প্রচুর মেল হরমোন নির্গত হয়। ফলে ডিম্বাশয়ে ধার ঘেঁষে ফোস্কার মতো সিস্ট জন্ম নেয়। এতে ডিম্বাশয়ের আকার বড় হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। সঙ্গে মেল হরমোন বেশি থাকায়, মেয়েদের শরীরে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যও চোখে পড়ে। শরীরে রোম বাড়ে। ঠোঁটের উপর গোঁফের রেখা দেখা দিতে পারে। ওজনও বাড়তে থাকে। পরবর্তী কালে প্রজননেও সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এই রোগ কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া সম্ভব।

Advertisement

‘পিসিওএস’ থেকে মুক্তি পেতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ কেন?

Advertisement

খাবারে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন এবং কম কার্বহাইড্রেট হল পিসিওএস-এ আক্রান্তদের জন্য জরুরি। শুধু তা-ই নয়, বিপাকজনিত সমস্যা কিংবা ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা থাকলে এবং ওজন কমাতে চাইলেও এই ডায়েট কার্যকরী। তাই ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে খাবারের তালিকায় প্রোটিন যোগ করলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলতে পারে। প্রোটিনের মধ্যে ডিম সব থেকে ভাল। তাই নির্দ্বিধায় ডিম খাওয়া যায়। সঙ্গে মুরগির মাংস, মাছ তো থাকবেই। তবে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনও এই ক্ষেত্রে উপযোগী।

ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে খাবারের তালিকায় প্রোটিন যোগ করলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলতে পারে। ছবি- সংগৃহীত

‘পিসিওএস’ এর বিরুদ্ধে প্রোটিন কী ভাবে কাজ করে?

১) প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খেলে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য পেট ভর্তি থাকে। বার বার খিদের অনুভূতি বা খাওয়ার ইচ্ছেকেও নিয়ন্ত্রণ করে প্রোটিন। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।

২) প্রোটিন হজম হতেও বেশ সময় লাগে। যার প্রভাবে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে। প্রোটিন ‘গ্লুকাগন’ নামক হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।

৩) এই হরমোনটি শরীরে প্রাকৃতিক ইনসুলিনের কাজ করে। রক্তে হঠাৎ শর্করার পরিমাণ কমে গেলে, তা আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এই হরমোন। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকলে এই রোগ অনেক ঠেকিয়ে রাখা যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement