Neil Nitin Mukesh Eating Habits

অম্বলের ওষুধ খেতেই হয় না, হজম ভাল হয়, কোন বিশেষ নিয়ম মেনে খাবার খান নীল নিতিন মুকেশ

গত কয়েক বছর ধরে আর ওষুধ খেতে হয় না। বদহজমও হয় না। অম্বল থেকে শত হাত দূরে থাকেন তিনি। কেবল একটি বিশেষ নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৫৯
Share:

নীল নিতিন মুকেশ কী নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করেন? ফাইল চিত্র।

এক বারে বেশি খাবার খান না অভিনেতা নীল নিতিন মুকেশ। মেপে দু’ঘণ্টা অন্তরই খাবার খান তিনি। এমন অভ্যাসই মেনে চলছেন গত কয়েক বছর ধরে। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন, “যতই ব্যস্ততা থাক না কেন, দু’ঘণ্টা অন্তর অল্প কিছু খেতেই হয় আমাকে। এই অভ্যাসের অন্যথা হয় না কখনওই। আর এমন ভাবে খেয়েই আমি গত কয়েক বছর ধরে সুস্থ আছি। ওষুধ খাওয়ার দরকারই পড়ে না।”

Advertisement

কেন এমন নিয়ম মানছেন নীল নিতিন মুকেশ?

অভিনেতা জানালেন, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যায় বেশ কয়েক বছর ভুগেছেন তিনি। সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন তিনি ‘জিইআরডি’, অর্থাৎ ‘গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজ়িজ়’ নামে হজম সংক্রান্ত ব্যাধিতে আক্রান্ত। খাবার খেলে তা হজমই হত না তাঁর। চোঁয়া ঢেকুর উঠত সর্ব ক্ষণ। রাতে শুলে মনে হত গলা-বুক জ্বলে যাচ্ছে। বুকে সব সময়ে চাপা ব্যথা অনুভব করতেন। অভিনেতা জানিয়েছেন, এমন একটা দিনও যায়নি যে, তাঁকে ওষুধ খেতে হয়নি। এর পরেই খাওয়াদাওয়ার নিয়মে বদল আনেন তিনি।

Advertisement

নীলের চিকিৎসক সুধীর যাদব জানিয়েছেন, পাকস্থলীর খাদ্যবস্তু মুখগহ্বর এবং পাকস্থলীর সংযোগকারী খাদ্যনালির মধ্য দিয়ে যখন উল্টো দিকে প্রবাহিত হয়, তখন এই সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে গলার কাছে জ্বালার অনুভূতি হয়। ওই অংশের পেশিকে বলে ‘লোয়ার ইসোফেজিয়াল স্ফিঙ্কটার’ বা ‘এলইএস’। খাবার গেলার সময়েই ওই পেশি শিথিল হয়। গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স রোগে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে এটি খাবার খাওয়ার সময় ছাড়া অন্যান্য সময়ও খুলে যায়। ফলে খাবার ও পাকরস খাদ্যনালি দিয়ে উপরে উঠে আসতে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে তা থেকে আরও নানা অসুখ বাসা বাঁধতে পারে। তাই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন—১) ভারী খাবার খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়া ঠিক নয়। খাবার খাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা পরে শোয়া উচিত।

২) ঝালমশলা ও তেল দেওয়া খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই বর্জন করতে হবে। হালকা কম তেলে রান্না খাবার খেতে হবে।

৩) প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর খাবার খেতে হবে। এক বারে ভারী খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বারে বারে খেতে হবে। খাবার সময় নিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে।

৪) খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০-৪০ মিনিট পরে জল খেতে হবে। সারা দিনে পর্যাপ্ত জল খেলে ভাল।

৫) ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। দানাশস্য, সব্জি, ফল ও বীজ বেশি করে খেতে হবে।

৬) সর্ষের তেলের বদলে অলিভ তেলে করা রান্না খেলেই বেশি ভাল হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement