জীবনে হাসি কম পড়েছে? ছবি- সংগৃহীত
হাসির ক্ষমতা জীবকুলে নাকি কেবল মানুষেরই রয়েছে! শুধু মন ভাল রাখার বহিঃপ্রকাশ নয়, হাসির জোরে জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অনেক রোগও বশে রাখা যায়। নিয়মিত হাসি অভ্যাস করতে ক্লাবে থেরাপি নিতে আসেন অসংখ্য মানুষ। হাসির ‘ডোজ়’ যে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য কত উপকারী, তা একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক লি বার্ক এবং স্ট্যানলি ট্যান প্রাণ খুলে হাসার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপকারিতার কথা তাঁদের গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন। দেখা যেতে পারে, সেগুলি কী কী?
১) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তচাপ দীর্ঘ দিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে, বাড়তে থাকে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। সেই সব নিয়ন্ত্রণে রাখতে কম বয়স থেকেই গুচ্ছের ওষুধ না খেয়ে প্রাণ খুলে হেসেই যখন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তখন একটু কষ্ট করে না হয় সকাল-বিকেল হেসেই নিলেন।
২) স্ট্রেস কমায়
সারা দিনের নানা রকম কাজের ভিড়ে চুপিসাড়ে বাড়তে থাকে উদ্বেগ। ঘরে-বাইরে নিত্য দিনের এই চাপ সামাল দিয়ে যাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু নিজের অজান্তেই শরীরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সকালে উঠেই একচোট হেসে নিলে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
নিয়মিত হাসি অভ্যাস করতে ক্লাবে থেরাপি নিতে আসেন অসংখ্য মানুষ। ছবি- সংগৃহীত
৩) হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখে
বয়সকালে অনেকেই কায়িক পরিশ্রম করতে পারেন না। এ দিকে শরীরচর্চা না করলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল না-ও থাকতে পারে। তা হলে উপায়? নিয়মিত হাসা অভ্যাস করেই হার্টের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
৪) টি-সেল উন্নত হয়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ‘টি-সেল’ জরুরি। নিয়মিত হাসার অভ্যাস থাকলে তৎক্ষণাৎ শরীরে ‘টি-সেল’-এর পরিমাণ বেড়ে যায়।
৫) হ্যাপি হরমোন ক্ষরণ হয়
কারণে-অকারণে শরীরে ব্যথা। আবার মনের ব্যথাও তো আছে। নানা ধরনের ব্যথা স্বাভাবিক ভাবে দূর করতে পারে ‘এনডরফিন হরমোন’। হাসলে এই হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর এবং মন দুই-ই ভাল থাকে।