কানের পিছনেও বাকি শরীরের মতোই সেবাসিয়াস গ্রন্থী থাকে, যা থেকে ঘাম বার হয়। ছবি: সংগৃহীত
আনমনে বই পড়তে পড়তে নিজের কানে পিছনে আঙুল বোলাচ্ছিলেন। তারপর আঙুল নাকের কাছে আনতেই একটা বোটকা গন্ধ পেয়ে ঘাবড়ে গেলেন। সাধারণত সকলের গায়ের গন্ধ আলাদা হয়। সেই গন্ধই কানের পিছন থেকেও পাওয়া যেতে পেরে। কিন্তু মাঝেমাঝে সেই গন্ধ যদি ঘাম বা পচা চিজের মতো হয়ে যায়, তা হলে যে কেউ ঘাবড়ে যাবেন।
কেন এমন দুর্গন্ধ বেরোয়?
প্রথমেই জানা ভাল, কানের পিছনেও বাকি শরীরের মতোই সেবাসিয়াস গ্রন্থী থাকে, যা থেকে ঘাম বার হয়। আমরা যখন স্নান করি, সাধারণত শরীরের অনেক ছোট অংশ আমরা ধুতে ভুলে যাই। কানের পিছনও তেমনই এক অবহেলিত জায়গা। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কানের পিছনে ঘাম জমে জমে তাতে ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়ে দুর্গন্ধ হতেই পারে।
যাঁদের ত্বকে ব্রণ বেশি হয়, তাঁদের সেবাসিয়াস গ্রন্থী বাকিদের তুলনায় বেশি সক্রিয়। তাই কানের পিছনে দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।
সেবাসিয়াস গ্রন্থী থেকে সিবাম তৈরি হয়। সেই সিবাম মূলত তেল আর গায়ের ফ্যাট এবং মোম। সব মিলিয়ে এক ধরনের গন্ধ তৈরি হয়। কানে পিছনে ত্বক যে ভাবে বাঁক নেয়, তাতে এগুলি জমার এবং দুর্গন্ধ তৈরি হওয়ার যথেষ্ট অবকাশ থাকে। জেনে রাখা ভাল, যাঁদের ত্বকে ব্রণ বেশি হয়, তাঁদের সেবাসিয়াস গ্রন্থী বাকিদের তুলনায় বেশি সক্রিয়। তাই কানের পিছনে দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।
শারীরিক কারণ ছাড়াও বাইরের নানা কারণে এই ধরনের দুর্গন্ধ হতে পারে। যেমন দূষণ, ধোঁয়া, মাথার স্কার্ফের নোংরা জমে, ত্বক বা চুলের প্রসাধনী জমেও এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
তবে অনেক সময়ে ইস্ট বা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের জন্যেও কানের পিছনে এমন দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই দীর্ঘ দিন এই সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই ত্বকের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।