প্রতীকী ছবি।
এক কালে স্কুলপড়ুয়ারা ভোরে উঠে পড়তে না বসলে বা একটু বেশি ঘুমলেই বড়রা রাগ করতেন। বলা হত, যে ঘুমিয়ে থাকে, তার ভাগ্যও ঘুমিয়ে থাকে। বেশি ঘুমলে বুদ্ধি কমে যায়, এমন কথাও বলা হত। ফলে ছাত্রছাত্রীদের বেশি ঘুম ভাল নয়, এমনই ধারণা ছিল। কিন্তু হালের গবেষণা এ বার উল্টো কথাই বলছে। দেখা যাচ্ছে, লেখাপড়ায় ভাল হওয়ার জন্য জরুরি পরিমাণ মতো ঘুম। যথেষ্ট ঘুম না হলে বুদ্ধি খুলবে না। তাই এখন পড়ুয়াদের জন্য যে শুধু লেখাপড়া নয়, ঘমুও জরুরি, সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে অভিভাবকদের।
সম্প্রতি আমেরিকার ‘স্লিপ ফাউন্ডেশন’-এর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বড়দের ৮-৯ ঘণ্টা ঘুম দরকার। আর পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত প্রায় ১৩ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। কম ঘুম নানা রকম ব্যাধি ডেকে আনতে পারে। ডায়াবিটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক অবসাদ, হার্টের অসুখ— নানা ধরনের সমস্যার যোগ রয়েছে কম ঘুমের অভ্যাসের সঙ্গে। ফলে ঘুম যত কম হবে, রোগ তত বাড়বে। ততই লেখাপড়ায় মন কম যাবে। বরং ভাল ভাবে ঘুমলে লেখাপড়াও ভাল হবে বলে দাবি করা হয়েছে সেই গবেষণায়।
প্রতীকী ছবি।
কী ভাবে বেশি ঘুমলে লেখাপড়া ভাল হবে?
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘুম ভাল হলে মস্তিষ্ক খানিকটা বিশ্রাম পায়। তাই ঘণ্টা কয়েক ঘুমের পর মস্তিষ্কের কিছু বার্তা অনেক সহজে শরীরের বাকি অংশে পৌঁছয়। ফলে লেখাপড়ার যে কাজ করতে অন্য সময়ে অনেকটা বেশি সময় লাগে, ঘুমের পর তা কম সময়ে হয়।
গবেষকদের আরও দাবি, ঘুম ভাল হলে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে। নিয়মিত কম ঘুম হলে কমতে থাকে স্মৃতিশক্তি। লেখাপড়ায় ভাল হওয়ার ক্ষেত্রে, যা পড়েছেন তা স্মরণে রাখাও জরুরি। ফলে ঘুম ভাল হলে কম পড়েও বেশি মনে রাখা সম্ভব হয়।