Intermittent Fasting

Intermittent Fasting: ঘড়ি ধরে খেয়ে ওজন কমাবেন? ফাইবারেই জব্দ হবে কোষ্ঠকাঠিন্য

এই ডায়েটের ক্ষেত্রে যেহেতু বাঁধাধরা সময়ের মধ্যে খাওয়াদাওয়া শেষ করতে হয়, তাই শরীরে সঠিক পুষ্টির অভাব হতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২২ ০৭:০৮
Share:

চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’। ছবি: সংগৃহীত

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কেবল শরীরচর্চা করলেই হবে না। তার সঙ্গে খাদ্যাভাসেও বদল আনতে হবে। চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’। এই ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কোনও রকম বিধি-নিষেধ থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে যা যা খাবার শরীরের জন্য প্রয়োজন, তা খেয়ে নিতে হবে। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করে কাটাতে হবে।

Advertisement

এই ধরনের অভ্যাস মেনে চলার অনেক উপকার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরল হ্রাস পায় এবং শরীরও ভাল থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার ঠিক থাকে। এতে ক্যালোরিও কম খাওয়া হয়।

তবে এই ডায়েটের ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য একটি বড় সমস্যা। নিয়মিত খাদ্যাভাসে বদল আনলে কম-বেশি সকলেই এই সমস্যার মুখোমুখি হন। এই ডায়েটের ক্ষেত্রে যেহেতু বাঁধাধরা সময়ের মধ্যে খাওয়াদাওয়া শেষ করতে হয়, তাই শরীরে পুষ্টির অভাব হতে পারে। বিশেষ করে জলের ঘাটতি হয়। এ ছাড়াও শরীরে প্রয়োজনীয় মাত্রায় ফাইবার পৌঁছয় না। এই দুই উপাদান হজমের জন্য ভীযণ গুরুত্বপূর্ণ। এই দুইয়ের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

Advertisement

প্রতীকী ছবি

তবে এখন উপায়?

‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ একান্তই যদি করতে হয়, তা হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

১) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত ফ্লুইড প্রয়োজন। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় মুসাম্বি, আনারস, আপেল, তরমুজ কিংবা কমলা লেবুর রস রাখুন। এমন ফল ও শাকসব্জি বেশি করে খান যার মধ্যে প্রচুর মাত্রায় জল রয়েছে। দিনে তিন থেকে চার লিটার জল খেতেই হবে।

২) ফাইবারে ভরপুর ফল ও শাকসব্জি রাখুন খাদ্যতালিকায়। ব্রকোলি, আলু, আমন্ড বাদাম, পপকর্ন, গোটাশস্য বেশি করে খান। পারলে ডায়েট চার্ট তৈরি করুন। কখন কী খাবেন, কতটা খাবেন, তা লিখে রাখুন।

৩) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য কালো কফিও খেতে পারেন।

৪) ডায়েটের পাশাপাশি শরীরচর্চা করুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ভুজঙ্গাসন, বজ্রাসন, ধনুরাসন এবং হলাসন বেশ উপকারী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement