শীতে বাড়ে মাইগ্রেনের ঝুঁকি। ছবি: সংগৃহীত।
শীতে যে কোনও শারীরিক সমস্যাই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। মাইগ্রেনও তার ব্যতিক্রম নয়। বরং শীতে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। এর নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ আছে। তার মধ্যে অন্যতম আবহাওয়া পরিবর্তন। মরসুম বদলের প্রভাব শরীরেও ভীষণ ভাবে পড়ে। শীতে মাইগ্রেনের ব্যথায় কষ্ট পাওয়ার সেটাও একটা কারণ। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে ঠান্ডা লাগাতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। আবার শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কারণ যা-ই হোক, শীতে মাইগ্রেনের ব্যথা নাজেহাল করে তুললে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন কিছু বিষয়।
১) ঠান্ডা লেগেই মূলত মাইগ্রেনের সমস্যা হয়। তাই ঠান্ডা যাতে না লাগে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। বাইরে বেরোলে কান, মাথা ঢেকে রাখুন। হাওয়া লাগতে দেবেন না।
২) রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। রাতে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। ঘুম ভাল হলে সুস্থ থাকা যাবে।
৩) সময়ে খাবার খাওয়া জরুরি। পেট খালি রাখলে ব্যথা-যন্ত্রণা বেড়ে যেতে পারে। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে ঘড়ি ধরে খাবার খাওয়া উচিত। তবেই সুস্থ থাকা যাবে।
৪) জল খেতে হবে বেশি। শরীরের আর্দ্রতা কমে গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফিট থাকতে জল খান বেশি করে। সেই সঙ্গে ঘন ঘন কফি, চা, মদ্যপানের অভ্যাস দূর করুন। ধূমপানও কম করতে হবে।
৫) শীতে ভিটামিন ডি পাওয়ার সুযোগ অনেকটাই কমে যায়। মাইগ্রেনের ব্যথার সেটাও একটা কারণ। তাই ভিটামিন ডি আছে, এমন খাবার বেশি করে খান।