অল্পবয়সি মহিলারা কী ভাবে আর্থরাইটিসের ঝুঁকি এড়াবেন? ছবি: শাটারস্টক।
৩০ পেরোতে না পেরোতেই শরীরে নানা অঙ্গের ব্যথায় জর্জরিত হন অনেক মহিলাই। পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই বেশি এই সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে এমন ফারাকের কারণ হরমোন। অনেকেই মনে করেন, বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কেউ কেউ মনে করেন, এই ধরনের ব্যথার ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস বা জিন অনেকাংশে দায়ী। তার উপর কম বয়সে হিল জুতো পরার অভ্যাস, শরীরচর্চা না করার ফলেও মহিলাদের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। এর থেকেই বাড়ে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা। অল্পবয়স থেকেই জীবনযাপনে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন মহিলারা। আর্থরাইটিসের ব্যথা এড়িয়ে চলতে কী কী বদল আনবেন জীবনে?
১) বাড়তি ওজন আর্থরাইটিসের অন্যতম কারণ। একটা বয়সের পর অনেক মহিলার শরীরের নীচের ভাগ ভারী হতে শুরু করে। তখন পুরো দেহের চাপ পড়ে হাঁটু এবং কোমরের অস্থিসন্ধির উপর। এর থেকেই বাতের যন্ত্রণা বাড়ে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি।
২) শুধু হাড়ের স্বাস্থ্য নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। অস্থিসন্ধির যত্ন নিতে গেলে প্রতি দিন অন্তত পক্ষে আধঘণ্টা শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। এখন বেশির ভাগ অফিসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বসে কাজ করতে হয়। তাই চলাফেরা একেবারেই হয় না। সময় বার করে হাঁটাহাঁটি ও যোগব্যায়ামও করতে হবে।
৩) শরীর সচল রাখতে হবে। সময় থাকতে অস্থিসন্ধির যত্ন নেওয়া শুরু করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ ধরনের জুতো পরার অভ্যাস করতে হবে। খাবারের উপরেও নজর দিতে হবে। রোজের ডায়েটে ভিটামিন ডি, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার বেশি করে রাখতে হবে।
৪) সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। হাড়ের যত্নেও তার অন্যথা হবে না। নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে। ঘুম কম হলে তার প্রভাব পড়বে হাড়ের উপর।
৫) ধূমপান শুধু ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর নয়। ধূমপানের অভ্যাসে হাড়েরও ক্ষয় হয়। তাই ধূমপান ত্যাগ করতে পারলে হাড়ও সুরক্ষিত থাকবে।