অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। ছবি: সংগৃহীত।
রুপোর পাত্রে খাবার কিংবা পানীয় পরিবেশন করার চল ছিল আগে। এখন দামের জন্যই রুপোর বাসন ব্যবহারে ইতি টেনেছেন মধ্যবিত্তেরা। তবে নতুন করে রুপোর গ্লাস, বাসন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের এক সাক্ষাৎকারে।
দেহের ত্রিদোষ, অর্থাৎ বাত-কফ-পিত্তের মধ্যে সমতা বজায় রাখা প্রয়োজন। এই তিন দোষের মধ্যে কোনও একটির মাত্রার হেরফের হলেই শারীরিক নানা ধরনের বিড়ম্বনা দেখা দিতে পারে। শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে যায়। অভিনেত্রী বলেন, “শরীরে পিত্তের পরিমাণ বেড়ে গেলে দেহের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। সেখান থেকে শারীরবৃত্তীয় নানা ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। শরীর শীতল রাখতে আমি নিয়মিত রুপোর গ্লাসে জল খাই।”
জল খাওয়ার জন্য রুপোর পাত্র ব্যবহার করলে আর কী কী উপকার হবে?
১) মানবদেহে এক একটি ধাতুর এক এক রকম প্রভাব রয়েছে। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, রুপো মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে। মানবশরীরের প্রায় ৭০ শতাংশই জল। শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে গেলেও জলের প্রয়োজন। সেই জল যদি রুপোর পাত্রে রেখে খাওয়া যায়, তা হলে ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া-ঘটিত সমস্যা বশে রাখা যায়। শরীরে অম্ল-ক্ষারের সমতাও বজায় থাকে।
২) রুপোর নিজস্ব অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ রয়েছে। তাই জলের মধ্যে কোনও অশুদ্ধি থাকলেও তা নিজগুণে সরিয়ে দিতে পারে এই ধাতুটি। ফিটকিরি বা রাসায়নিকের সাহায্যে জল পরিস্রুত করার প্রয়োজন পড়ে না।
৩) রুপোর পাত্রে রাখা জল খেলে জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। গরমকালে কলেরা, ইকোলাই, টাইফয়েডের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। রুপোর পাত্র থেকে জল খেলে প্রদাহজনিত সমস্যাও রোধ করা যায়।