পুষ্টিবিদের পরমার্শ ছাড়াই ক্র্যাশ ডায়েট করছেন? ছবি: শাটারস্টক।
ভুঁড়ি বাড়ছে দেখে পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়াই কেবল নেটমাধ্যমের উপর নির্ভর করে ক্র্যাশ ডায়েট করতে শুরু করেন অনেকেই। হঠাৎ করে খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দেওয়া, খিদে পেলেও তাকে বুড়ো আঙুল দেখানো, ভাত-রুটি-মিষ্টিজাতীয় খাবার একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার ফল মিলছে একেবারে হাতেনাতে। সপ্তাহ দুয়েক এমন ডায়েট মেনে চলেই জামাগুলো ঢিলে হতে শুরু করেছে। চোখ মুখের ফোলা ভাব যেন উধাও! সেই দেখেই ভাবছেন, এই ডায়েট দু’মাস করতে পারলেই তো কেল্লা ফতে! অজান্তেই কিন্তু করে বসছেন মস্ত বড় ভুল। এর ফলে আপনার শরীর কিন্তু ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ছে। কেবল তা-ই নয়, বাসা বাঁধছে রোগ-ব্যাধিও। ক্র্যাশ ডায়েটে পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া হয় না, ফলে ইটিং ডিজঅর্ডার দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ডায়েট শুরু করা একেবারেই উচিত নয়। জানেন কি, এই ক্র্যাশ ডায়েটের ফল কী ভয়ানক হতে পারে?
১) এই ডায়েটের ফলে শরীরে জলের জলের মাত্রা ব্যাপক হারে কমে যায়। আপনি যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম ফ্যাট খান, তখন দেহকোষ পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট পায় না। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই সে শরীরের অতিরিক্ত জল শুষে নেয়। যার ফলে গ্লাইকোজেন ভেঙে যায়। আর গ্লাইকোজেন ভাঙলেই জলশূন্যতা তৈরি হয়।
২) শরীরে বিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।
৩) শরীরে শক্তি আসে ক্যালোরি থেকে। হঠাৎ করে কম ক্যালোরি খেলে শরীরের পেশির উপর প্রভাব পড়ে। পেশির শক্তি কমে আসে।
ক্র্যাশ ডায়েট করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ছবি: শাটারস্টক।
৪) ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ মাত্রা বেড়ে যায় অনেকখানি। ফলে বিষণ্ণতা, ঘনঘন মেজাজ পরিবর্তন ইত্যাদি হতেই পারে।
৫) শুধু তাই নয়, দেহে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন আর মিনারেলের অভাবে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও তৈরি হয়।
৬) এ ছাড়াও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। শরীরে ক্লান্তি আসে। কাজকর্মে অনীহা দেখা দেয়।
৭) এই প্রকার ডায়েটে অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যা দেখা যায়।