ট্যাটু করানোর আগে জেনে রাখা জরুরি, শরীরের কোন অঙ্গগুলিতে ট্যাটু করালে কম ব্যথা লাগে। ছবি: শাটারস্টক।
তরুণ প্রজন্মের কাছে ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’। কেউ প্রেমিক-প্রেমিকার নামে ট্যাটু করাচ্ছেন, কেউ আবার গোটা শরীরটাকেই ক্যানভাসে পরিণত করছেন। দিন দিন বেড়ে চলেছে ট্যাটুর জনপ্রিয়তা।
আপনারও কি ট্যাটু করানোর শখ হয়েছে? তবে জানেন কি ট্যাটু করানোর আগে ও পরে মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম? কোথা থেকে ট্যাটু করাচ্ছেন, সেটা কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে এমনও আছেন যাঁদের শখ থাকলেও ব্যথার ভয় ট্যাটু করানো থেকে পিছিয়ে আসেন। ট্যাটু করানোর আগে জেনে রাখা জরুরি, শরীরের কোন অঙ্গগুলিতে ট্যাটু করালে কম ব্যথা লাগে।
ঊরু
হট প্যান্ট পরতে ভালবাসেন? সে ক্ষেত্রে ঊরুতে একটা ট্যাটু করিয়ে নিতে পারেন। শরীরের অন্য অংশগুলির তুলনায় ঊরুতে ব্যথা কম লাগে।
হাত
প্রথম বার ট্যাটু করানোর পরিকল্পনা করলে হাত বাছাই করাই শ্রেয়। হাতে ট্যাটু করলে ব্যথা সবচেয়ে কম লাগে। কব্জির উপরের অংশটিতে ট্যাটু করলে খুব বেশি ব্যথা হয় না। তাই প্রথম ট্যাটু সেখানেই করিয়ে নিতে পারেন।
আপানার বয়স কত, আপনার ত্বক কী রকম এই সব বিষয়ের উপরেও ব্যথা কতখানি হবে তা নির্ভর করে।
কাঁধ ও বাইসেপ
কাঁধেও ট্যাটু করিয়ে নিতে পারেন। দেখতে বেশ লাগে আর ব্যথাও কম হয়। এ ছাড়া বাইসেপের উপরেও ট্যাটু করিয়ে নিতে পারেন। খুব বেশি ব্যথা লাগবে না।
পিঠ
ব্লাউজের দড়ির ফাঁক দিয়ে কিংবা হাত কাটা টি-শার্ট পরলে পাশ দিয়ে ট্যাটু উঁকি মারলে দেখতে বেশ লাগে। শরীরের এই অংশে আপনিও ট্যাটু করিয়ে নিতে পারেন। ব্যথা লাগার ঝুঁকি কম।
ট্যাটু করাতে গিয়ে সবারই যে একই রকম ব্যথা হয় এমনটা নয়। আপানার বয়স কত, আপনার ত্বক কী রকম এই সব বিষয়ের উপরেও ব্যথা কতখানি হবে তা নির্ভর করে। আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়, তা হলে ব্যথা বেশি হবে। বয়স বেশি হয়ে গেলে চামড়া কুঁচকে যায়, সে ক্ষেত্রেও কিন্তু বেশি ব্যথা হয়। রক্ত সম্পর্কিত কোন রোগ থাকলে বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বেশি ব্যথা হতে পারে। ট্যটু করার আগে এই সব বিষয়গুলি নিয়েও সতর্ক থাকুন।