সম্প্রতি ডাম্বল তুলতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন অভিনেতা সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
বলিপাড়ার অন্যতম ফিটনেস সচেতন অভিনেতা কে? এই প্রশ্নের উত্তরে নিন্দকেরাও বোধহয় সলমন খানের নামই বলবেন। সলমনের ফিট থাকার রুটিন অনেকেরই অনুপ্রেরণা। কড়া ডায়েটের চেয়েও শরীরচর্চার উপর বেশি জোর দেন তিনি। সম্প্রতি ডাম্বল তুলতে গিয়েই আঘাত পেয়েছেন অভিনেতা। ‘টাইগার ৩’ ছবির শুটিংয়ের সেটেই এই কাণ্ড ঘটে। এই ঘটনার পর নিজের একটি ছবি টুইট করেন তিনি। ছবিতে সলমনের কাঁধ থেকে পিঠ পর্যন্ত ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। ছবির সঙ্গে সলমন লেখেন, ‘‘আমরা ভাবি যে, পৃথিবীর সব ভার বোধহয় কাঁধে বহন করে নিতে পারব। এ সব ভাবনা ছেড়ে আগে পাঁচ কিলো ডাম্বল উঠিয়ে দেখাও। টাইগার জখম হয়েছে।’’
যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, মেদ ঝরানো বা বাইসেপ্স বানানো যাঁদের লক্ষ্য, ডাম্বল তোলার বিষয়টি তাঁদের কাছে খুব চেনা। এই ব্যায়ামে কাঁধ শক্ত হয়। পিঠের মেদ ঝরে। সেই সঙ্গে মজবুত হয় পেশিও। তবে ডাম্বল তোলার কিছু নিয়ম আছে। যেগুলি না মেনে চললে সলমনের মতোই যে কোনও সময় জখম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেগুলি কী?
১) ডাম্বল তোলার আগে ৫-১০ মিনিট ‘ওয়ার্ম আপ’ করে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে স্ট্রেচিং করাও জরুরি। তা হলে পেশির আড়ষ্টতা দূর হবে।
২) ডাম্বল তোলার সঠিক ভঙ্গি রয়েছে। ভঙ্গিতে ভুল থাকলে কিন্তু মুশকিল। তাই একা এই ধরনের ব্যায়াম করার চেয়ে ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৩) ৫ কেজি কিংবা তার বেশি ওজনের ডাম্বল তোলার ক্ষেত্রে ফিটনেস প্রশিক্ষকের সাহায্য নিলেই ভাল। একা একা করতে গিয়ে অনেক সময় পেশিতে টান ধরা কিংবা অন্য কোনও সমস্যা হতে পারে।
৪) ডাম্বল তোলার সময় যেন দুটো হাতের সঞ্চালনা একই ভাবে হয়। না হলে ডাম্বল তোলার কোনও সুফল পাওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে আচমকা শিরায় টান কিংবা হাড়ে চিড় ধরার আশঙ্কাও থেকে যায়।