অ্যাপেনডিসাইটিস নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। প্রতীকী ছবি।
শরীরে কখন কী রোগ হানা দেবে, তা আগে থেকে বলা যায় না। বেশির ভাগ শারীরিক অসুস্থতা খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম থেকেই হয়। অ্যাপেনডিসাইটিস তার অন্যতম উদাহরণ।
বৃহদন্ত্রের সঙ্গে লাগানো অ্যাপেনডিকস নামক ছোট থলির আলাদা করে কোনও কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপেডিক্সে সংক্রমণ হলে ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে ও অস্ত্রোপচার না হলে প্রাণসংশয় পর্যন্ত হতে পারে।
অনেক সময়ে কোনও খাবারের টুকরো ঢুকে বা অন্য কোনও কারণে ওই থলির মতো অংশটির মুখ যদি আটকে যায়, তা হলে সেখানে সংক্রমণ ঘটে। জায়গাটা ফুলে ওঠে, ব্যথা হয়। চিকিৎসার পরিভাষায়, এটাই অ্যাপেনডিসাইটিস। অনেক সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও এই রোগ হতে পারে। সাধারণত ১০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে অ্যাপেনডিসাইটিস বেশি দেখা যায়। এর পরে বয়স যত বাড়বে, অ্যাপেনডিক্স আরও ছোট হয়ে শুকিয়ে যায়। তাই অ্যাপেনডিসাইটিস নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। তার জন্য প্রাথমিক ভাবে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা জরুরি। অ্যাপেনডিসাইটিস হলে কোন খাবারগুলি খাবেন আর কোনগুলি নয়?
অ্যাপেনডিসাইটিসের রোগীদের জন্য মদ্যপান বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
মেথি বীজ
অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথা কমাতে মেথি দারুণ উপকারী হতে পারে। ২ চামচ মেথি এক লিটার জলে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে সারা দিনে ২ বার এই জলটি খেতে পারেন উপকার পাবেন।
লস্যি
অ্যাপেনডিসাইটিসের উপসর্গগুলির তীব্রতা দূর করে লস্যি। রোজের ডায়েটে রাখলেও উপকার পেতে পারেন। খুব ভাল হয় যদি বাড়িতেই লস্যি বানিয়ে নিতে পারেন।
আদা
যে কোনও ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতেই আদা কার্যকরী। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ আদা খেতেই পারেন রোজ। অ্যাপেনডিসাইটিসের ক্ষেত্রে অবশ্য আদা খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। আদার সঙ্গে খেতে পারেন হলুদ এবং মধু। সত্যিই উপকার পাবেন।
কোন খাবারগুলি ভুলেও খাবেন না?
ভাজাভুজি
ডোবা তেলে ভাজা কোনও খাবার ভুলেও এই রোগে খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের খাবার অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথা আরও দ্বিগুণ করে তুলতে পারে।
অ্যালকোহল
অ্যাপেনডিসাইটিসের রোগীদের জন্য মদ্যপান বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। পেটে অ্যাপেনডিক্স নিয়েও যদি মদ্যপান করতে থাকেন, তা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে।
চিনি
অ্যাপেনডিসাইটিসের সমস্যায় চিনি থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। এমনিতে ফল এবং আরও বেশ কিছু খাবারে চিনি থাকেই। ফলে আলাদা করে চিনি খেলে সত্যিই সমস্যা হতে পারে।