Dental Injury

পড়ে গিয়ে দাঁতে আঘাত পেয়েছে শিশু? দাঁত ভেঙে গিয়েছে, কী ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন বাবা-মায়েরা?

খেলাধুলা করতে গিয়ে বা মারামারি করতে গিয়ে দাঁতে আঘাত পায় অনেক শিশুই। দাঁত ভেঙেও যায় অনেকের। মাড়ি থেকে রক্ত বেরোতে পারে। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৪ ১৭:২৪
Share:

শিশু দাঁতে আঘাত পেলে সঙ্গে সঙ্গে কী করা উচিত? ছবি: ফ্রিপিক।

দাঁতে ব্যথা, মাড়ি ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা লেগেই থাকে শিশুদের। বিশেষ করে যে শিশুরা বেশি চকোলেট, আইসক্রিম বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খায়, তাদের ক্যাভিটির সমস্যাও ভোগায়। তবে শিশু যদি পড়ে গিয়ে দাঁতে আঘাত পায়, তখন সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বাবা-মাকে। খেলাধুলা করতে গিয়ে বা মারামারি করতে গিয়ে দাঁতে আঘাত পায় অনেক শিশুই। দাঁত ভেঙেও যায় অনেকের। মাড়ি থেকে রক্ত বেরোতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে প্রাথমিক চিকিৎসা বাড়িতেই সেরে নিতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে যদি মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়, তা হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।

Advertisement

শিশু যখন হামাগুড়ি দিতে শেখে, তখন থেকেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তার পর বয়স দু-তিন বছর হলে যখন খেলে-দৌড়ে বেড়ায়, তখন আরও সমস্যা দেখা যায়। দোলনা বা স্লিপ থেকে পড়ে গিয়ে এই ধরনের আঘাত লাগার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। দুধের দাঁতে আঘাত লাগলে তা ভেঙে গিয়ে মাড়ির ভিতর ঢুকে যায় অনেক সময়ে। এর ফলে মাড়িতে ক্ষত হতে পারে। আঘাত অল্প হলে তা ওষুধে সেরে যায় অনেক সময়েই। কিন্তু ক্ষত যদি গভীর হয়, তা হলে সেখানকার কোষ নষ্ট হতে থাকে। শিশুর দাঁতে আঘাত লাগার পর যদি দেখেন মাড়ি লাল হয়ে যাচ্ছে, দাঁতে রং কালচে হয়ে যাচ্ছে, তখন সাবধান হতে হবে।

কী করবেন বাবা-মায়েরা?

Advertisement

দাঁত ভেঙে গেলে বা মাড়ি থেকে রক্ত বেরোলে প্রথমেই আঘাত লাগার জায়গায় বরফ দিন। যদি দাঁতের অংশ মাড়িতে ঢুকে যায়, তা হলে সেই জায়গা পরিষ্কার করে অ্যান্টিসেপটিক মলম লাগাতে হবে। তার পর দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

গোড়া থেকে দাঁত উপড়ে এলে আগে বরফ ও মলম লাগিয়ে রক্ত বন্ধ করে, তার পর সেই দাঁত দুধ বা স্যালাইন জলে ভিজিয়ে দন্ত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতের চিকিৎসা না করানো গেলে নতুন দাঁত প্রতিস্থাপন করতে হয়।

আঘাত লাগার পর যদি শিশুর দাঁতে ব্যথা হয়, মাড়িতে শিরশিরানির অনুভূতি হয়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ খেতে হবে। অনেক সময়ে আঘাত লেগে দাঁতের এনামেলের ক্ষয় হয়। দুই দাঁতের মধ্যে ফাঁকও তৈরি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফিলিং করে ক্ষত ভরাট করা হয়।

দাঁত-মাড়িতে ব্যথা হলে ভাল ভাবে ব্রাশ করাতে হবে শিশুকে। কী ধরনের মাজন জরুরি, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে। কোনও রকম ঝালমশলা দেওয়া খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার দেওয়া চলবে না। শক্ত খাবারের পরিবর্তে গলা ভাত খাওয়াতে পারেন। পর্যাপ্ত জলও খেতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement