স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ কী ভাবে করলে উপকার হবে। ছবি: ফ্রিপিক।
চুলের স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই, কিন্তু ভুলে যাই গোড়ার কথা অর্থাৎ স্ক্যাল্প বা মাথার তালুর যত্ন। ত্বকের যত্নে যেমন স্ক্রাবিং, ক্লেনজ়িং, ময়শ্চারাইজ়িংকে গুরুত্ব দিই, স্ক্যাল্পের ক্ষেত্রেও তেমনই। মাথার তালুতে যদি ময়লা জমে থাকে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হয়, তা হলে চুল তো ঝরবেই, আরও নানা সমস্যা দেখা দেবে। মাথার তালুতে নিয়ম করে মালিশ করতে পারলে তার উপকার অনেক। চুলের স্বাস্থ্য তো ভাল হবেই, মানসিক চাপও কমবে। রাতে নিশ্চিন্তের ঘুম হবে। তবে সঠিক পদ্ধতি জেনে নিতে হবে।
স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ কী ভাবে করবেন?
প্রথমে চুল ভাল করে আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিন।
বড় চুল হলে, মাথা ঝুঁকিয়ে সব চুল সামনের দিকে আনুন।
এ বার আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার পিছন থেকে সামনের দিকে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন।
চুলের গোড়ার দিকগুলিতে চক্রাকারে মালিশ করতে হবে। মাথার সামনের দিকে কপাল বরাবর একটু চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ তেল দিয়ে করলে হেয়ার ফলিকলগুলি পুষ্টি পাবে। চুলের গোড়া মজবুত হবে।
স্ক্যাল্প ম্যাসাজের লাভ কতটা?
রুক্ষ-শুষ্ক চুলের সমস্যার সমাধান হতে পারে এই উপায়ে। মাথার তালু অনেক সময়েই শুকিয়ে গিয়ে চুলকানি হয়। তালুতে ব্রণ বা র্যাশও হয়। নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করলে তালুতে নোংরা জমতে পারবে না। মৃত কোষগুলি উঠে যাবে, ফলে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা ভোগাবে না। পাশাপাশি, চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। অক্সিজেনও পৌঁছবে। চুল অকালে পাকবে না বা ঝরবে না।
রাতে ঘুমনোর আগে ১০-১৫ মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করলে ঘুম ভাল হবে। উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই মিলবে। নিয়মিত স্ক্যাল্পে মালিশ করলে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়ে না। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। চুলের ডগা ফাটার সমস্যা থাকলে তা-ও কমবে ধীরে ধীরে।