কোভিড পরিস্থিতির মাঝেই এই নয়া ভাইরাস নিয়ে ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। ছবি: সংগৃহীত।
নতুন বছরে করোনার আতঙ্ক কিছুটা হলেও দূরে রয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকেন পক্স পেরিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মারবার্গ ভাইরাস। গত বছর পশ্চিম আফ্রিকায় ঘানায় মারবার্গে আক্রান্ত হয়েছিলেন দু’জন। ওই দু’জনের সংস্পর্শে আসা বেশ কয়েক জনকেও রাখা হয়েছিল নিভৃতবাসে। সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এই ভাইরাস। ফের ঘানাতেইন আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তরফে এই ভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। এখনও জারি রয়েছে সেই নির্দেশিকা। কোভিড পরিস্থিতির মাঝেই এই নয়া ভাইরাস নিয়ে ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। গত বছর এমন সময়টাতেই তেড়েফুঁড়ে উঠেছিল এই ভাইরাস। এ বছরও চিত্রটি যাতে এক রকমই পর্যায়ে না পৌঁছয়, তাই আগে থেকে সুরক্ষিত রাখা জরুরি। তার জন্য প্রথমেই জেনে নিতে হবে এই ভাইরাসের উপসর্গগুলি।
মারবার্গ ভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ মাথাঘোরা। ছবি: সংগৃহীত।
মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, পেশিতে ব্যথা, ডায়েরিয়া, বমি বমি ভাব, মাথাঘোরা, মাথাব্যথা— মারবার্গ ভাইরাসের অন্যতম কয়েকটি লক্ষণ। এর কোনও একটিও যদি দেখা দেয়, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যান। ফেলে রাখবেন না একেবারেই। এগুলি ছাড়াও মারবার্গ ভাইরাসের অন্যান্য লক্ষণ হল, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, গায়ে-হাতে র্যাশ, ফুসকুড়ি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বক্তব্য, মারবার্গ আসলে ইবোলা ভাইরাস গোষ্ঠীর অন্তর্গত। গবেষণায় প্রমাণিত, মারবার্গ ইবোলার চেয়েও দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। তাই এই ভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল মারবার্গ ভাইরাস প্রতিরোধের কোনও টিকা এখনও আবিষ্কার হয়নি। তাই কোনও রকম বিপদের ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল। মারবার্গ ভাইরাস শরীরে বাসা বেঁধেছে, তা সব সময়ে বোঝা যায় না। তাই প্রভূত সুরক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। ভিড় কোনও জায়গা এড়িয়ে চলুন। বাইরে থেকে এসে ভাল করে হাত-পা ধুয়ে নিন। এবং অতি অবশ্যই মাস্ক পরুন।