সারা বছর দই শরীরের যত্ন নিলেও বর্ষায় কিন্তু টক দই খেতে বারণ করেন চিকিৎসকররা। ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। অনেকের প্রতি দিনের পাতে থাকে টক দই। পুষ্টিবিদরাও নিয়ম করে টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। টক দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান লিভার যেমন সুস্থ রাখে, তেমনই এর জেরে নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টেরল। অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন দইয়ের উপর।
সারা বছর দই শরীরের যত্ন নিলেও বর্ষায় কিন্তু টক দই খেতে বারণ করেন চিকিৎসকররা। এই সময় সর্দি-কাশি তো আছেই, সেই সঙ্গে দেখা দেয় পেটের গোলমালও। দই হজমে সাহায্য করলেও বর্ষায় দইয়ে জন্ম নিতে পারে ব্যাক্টেরিয়া। কিংবা ফ্রিজে অনেক দিন দই রেখে খেলেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্ষায় বিভিন্ন সংক্রমণ জাতীয় রোগের প্রকোপ দেখা যায়। দই খেলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
দই হজমে সাহায্য করে। যত্ন রাখে শরীর। কিন্তু ভুল সময়ে ও পদ্ধতিতে খেলে দেখা দিতে পারে বিপদ। এই কারণে দইয়ের সঙ্গে লেবু জাতীয় কোনও ফল খাওয়া ঠিক নয়। এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস অম্বল এবং আলসারের কারণ হতে পারে।
বর্ষায় দই খাওয়ার আগে কিছু নিয়ম মেনে চললে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ভাজা জিরের গুঁড়ো এবং বিটনুন। হজম এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এ ভাবে খেতে পারেন টক দই। গলাব্যথা দূর করতেও এই পদ্ধতিতে টক দই খেতে পারেন।