দাঁতের যত্ন নেওয়ার আগে ব্রাশের যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
শেষ কবে টুথব্রাশ বদলেছেন মনে আছে? ব্রাশ একেবারে ব্যবহারের অযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত তা বদলানোর কথা আমাদের মাথায় আসে না। দাঁতের জেল্লা নষ্ট হয়ে গেলে আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। এ দিকে, টুথব্রাশ নিয়ে ততটাই উদাসীন। নিয়ম করে দু’বেলা দাঁত মাজলেই তো হল, ব্রাশ নিয়ে ভাবনার সময় কার কাছেই বা আছে! দাঁতের অযত্ন থেকে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এই দাঁতের অযত্নের অন্যতম বড় কারণ হতে পারে পুরনো টুথব্রাশ ব্যবহার করা।
কত দিন অন্তর দাঁত মাজার ব্রাশ বদলানো জরুরি?
প্রতি দুই থেকে তিন মাস অন্তর দাঁত মাজার ব্রাশ বদলানো উচিত। তবে কী ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে সময় কমেও আসতে পারে। তবে তিন মাসের বেশি একটি টুথব্রাশ ব্যবহার না করাই ভাল। এ ছাড়াও কোনও অসুস্থতা, বিশেষ করে ভাইরাল রোগ থেকে সেরে ওঠার পর অবশ্যই টুথব্রাশ বদলে ফেলা জরুরি। ভাইরাল জ্বর, কাশি, ঠান্ডা থেকে সেরে ওঠার পর যত দ্রুত সম্ভব টুথব্রাশ বদলে ফেলা উচিত। কারণ, রোগ সেরে গেলেও রোগের জীবাণু লেগে থাকতে পারে টুথব্রাশে।
তিন মাসের বেশি একটি টুথব্রাশ ব্যবহার না করাই ভাল। ছবি: শাটারস্টক।
কী ভাবে ব্রাশের যত্ন নেবেন?
১) প্রায় বেশির ভাগ বাড়িতেই সব সদস্যের ব্রাশ একই পাত্রে সাজানো থাকে। এই ভাবে ব্রাশ রাখলে এক জনের ব্রাশ থেকে অন্য জনের ব্রাশে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি এক পাত্রেই রাখতে হয়, তবে ব্রাশে অবশ্যই ঢাকনা ব্যবহার করুন।
২) বেসিনের পাশে কিংবা স্নানঘরে ব্রাশ রাখাও উচিত নয়। এই ধরনের স্যাঁতসেঁতে ও আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়ায় রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও তাই অনেকটাই বেশি।
৩) নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে ব্রাশ। সপ্তাহে অন্তত এক বার ব্যবহার করার আগে উষ্ণ জলে ধুয়ে নিন ব্রাশ। এতে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা কিছুটা কমবে। এ ছাড়া, মাউথ ওয়াশ জাতীয় দ্রবণে মিনিট দুয়েক চুবিয়ে রাখলেও জীবাণুমুক্ত হবে ব্রাশ।