জল খেয়েও মিটছে না তেষ্টা? প্রতীকী ছবি।
সারা দিন প্রচুর জল খাচ্ছেন। বাইরে বেরোলেও সঙ্গে রাখছেন জলের বোতল। অফিসেও কাজের ফাঁকে ঘন ঘন জল খাচ্ছেন। টিফিনের সময় বাইরে বেরোলে চুমুক দিচ্ছেন আখের রসের গ্লাসে। অথচ এত জল খেয়েও তেষ্টা যে কিছুতেই মিটছে না। আশ্বিনের শেষ হয়ে এলেও গরমটা এখনও যায়নি। এই আবহাওয়ায় তেষ্টা পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু জল খেয়েও সেই পিপাসা যদি না মেটে তা হলে কিন্তু ব্যাপারটা হালকা ভাবে নিলে চলবে না। তেষ্টা নিবারণের একমাত্র পথ তো জল খাওয়া। জল খেয়েও তৃষ্ণা যদি না ফুরোয় তা হলে কিন্তু চিন্তার একটা কারণ থেকেই যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই লক্ষণ মোটেই স্বাভাবিক নয়। বরং কিছুটা অস্বাভাবিক।
ডায়াবিটিস থাকলে বারেবারে গলা শুকিয়ে যায়। প্রতীকী ছবি।
এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকরা প্রথমে ডায়াবিটিস পরীক্ষার কথা বলেন। কারণ রক্তে শর্করা বাসা বাঁধলে মূলত এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। ডায়াবিটিস থাকলে বারেবারে গলা শুকিয়ে যায়। ডায়াবিটিস রোগীদের কাছে তাই এই ধরনের উপসর্গ খুব চেনা। ফলে এমন কিছু হলে অতি অবশ্যই এক বার ডায়াবিটিস পরীক্ষা করে নিন। তবে এই উপসর্গের কারণ একমাত্র ডায়াবিটিস নয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জল খেয়েও তৃষ্ণা না মেটার আরও একটি নেপথ্য কারণ হল অন্ত্রের ক্যানসার। এই ধরনের ক্যানসার শরীরে খুব ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধার বেশ কিছু দিন পর উপসর্গ দেখা যায়। ক্লান্তি, খিদে কমে যাওয়া, ওজন হ্রাস পাওয়া— অন্ত্রের ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ।
রক্তাল্পতা রোগেও কিন্তু এমন হতে পারে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে বার বার তেষ্টা পায়। কারণ জলশূন্যতা হল রক্তাল্পতার একটি বড় লক্ষণ। মারাত্মক আকারে অ্যানিমিয়া দেখা দিলে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার প্রবণতাও বেড়ে যায়।