করোনা-কাঁটার মধ্যেই শীতকালীন সর্দিকাশির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
গত বছরের শেষ থেকে চিনে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। করোনার নতুন উপরূপ বিএফ.৭-এর দাপটে সে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে। হাসপাতালগুলিও করোনা আক্রান্ত রোগীতে ভরে গিয়েছে। চিনের এই পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে আরও।
করোনা-কাঁটার মধ্যেই শীতকালীন সর্দিকাশির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। ঘুষঘুষে জ্বর, কাশি, সর্দিতে ভুগছেন অনেকেই। কমবেশি অনেকেই এই শীতকালীন ঠান্ডা লাগার শিকার। এক বার ঠান্ডা লাগার উপসর্গগুলি দেখা দিতে শুরু করলে, সহজে তা কমতে চায় না। তাই এই সময় সতর্ক থাকা জরুরি। করোনা আতঙ্ক আবার ফিরে আসায়, ঠান্ডা লাগলেই আশঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অনেকে। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সর্দিকাশি, গলাব্যথা, ক্লান্তি, বুকে ব্যথা, মাথাব্যথার মতো কিছু সাধারণ এবং মৃদু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে এখানেই। কারণ, করোনা এবং সাধারণ ঠান্ডা লাগার উপসর্গগুলির মধ্যে খুব পার্থক্য নেই।
কোভিডে গলাব্যথাও অন্যতম উপসর্গ। প্রতীকী ছবি।
ঠান্ডা লেগেছে মানেই যে আপনি করোনায় আক্রান্ত, তা নয়। আবার ঠান্ডা লাগার উপসর্গগুলি দেখা দিলে, তা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। এমনকি, গলাব্যথার মতো সমস্যাও নয়। কারণ কোভিডে গলাব্যথাও অন্যতম উপসর্গ। ঠান্ডা লেগেও হতে পারে গলাব্যথা। কিন্তু গলাব্যথার কারণ যদি করোনার নতুন রূপ হয়, সে ক্ষেত্রে ব্যথার ধরনটা আলাদা হবে। গলাব্যথার ধরন দেখে তফাত করবেন কী ভাবে?
১) কোভিডের কারণে গলাব্যথা হলে গলার কাছে কিছু আটকে আছে বলে মনে হবে। খাবার গিলতে কষ্ট হবে। সব সময় গলা শুকিয়ে আসবে।
২) ঠান্ডা লেগে গলাব্যথা হলে শুধু গলায় নয়, অনেক সময় মাড়িতেও ব্যথা হয়। দু’-এক বার গার্গল করলে কমে যাওয়ার কথা।
৩) কোভিডের গলাব্যথা সাধারণত পাঁচ দিনের বেশি থাকে না। পাঁচ দিনের বেশি গলা ব্যথা থাকলে, তা অন্য কোনও কারণে হয়েছে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
৪) ঠান্ডা লাগার কারণে গলাব্যথা একই রকম থাকে না। কখনও খুব বেশি হয়। আবার মাঝেমাঝে কম থাকে।
৫) গরম পানীয় বা খাবার খেলেও কোভিড সংক্রমণের গলাব্যথা অনেক সময় কমতে চায় না। অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ এই ধরনের গলাব্যথাকে জব্দ করতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা লেগে গলাব্যথা হলে গরম জল বা গরম কোনও পানীয় খেলে অনেক সময় ব্যথা কমে যায়।