সকালের খাবার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: সংগৃহীত
জিমে যাওয়া, মেপে খাওয়াদাওয়া করা, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো— ওজন কমাতে পরিশ্রম কম করেন না অনেকেই। বিস্তর চেষ্টার পরেও অনেক সময়ে ওজন কমত চায় না। বিশেষত কোমরের মেদ নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে থাকেন।
শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে দিনের অন্য সময়ের খাবারের চেয়েও বেশি সচেতন হতে হবে প্রাতরাশের বিষয়ে।
সকালের খাবার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সকালের জলখাবারে কী খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করছে সারা দিনের শরীরের হাল কেমন থাকবে। ওজন কমাতে শরীরচর্চা যেমন জরুরি তেমনই স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে রোগা হতে চাইলে প্রাতরাশের সময়েও খানিক বদল আনা জরুরি।
পুষ্টিবিদরা বলেন, ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় কী খাচ্ছেন, তার পাশাপাশি কখন খাচ্ছেন সেটাও অত্যন্ত জরুরি। পেটের মেদ কমাতে হলে সকালের খাবারে ভাবনাচিন্তা করে কয়েকটি উপাদান রাখতে হবে। কার্বোহাইড্রেট থাকতে হবে কম। কিন্তু প্রোটিন ও ফাইবার রাখতে হবে যথেষ্ট মাত্রায়। ডিম, উপমা, টক দইয়ের মতো খাবার সকালের জলখাবারে রাখলে ওজন কমবে দ্রুত। শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলেই হবে না, সময় মতো তা খেয়ে নেওয়াটাও জরুরি। রাতে খাওয়ার পর অনেকটা সময় পেট ফাঁকা থাকে। বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকা স্বাস্থ্যকর নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, রাতের এবং সকালের খাবারের মধ্যে অন্তত ১২ ঘণ্টার ফারাক থাকা প্রয়োজন। তার কম হলেও অসুবিধা নেই। তবে তার বেশি যেন না হয়। সকাল ৭-৯ টার মধ্যে প্রাতরাশ করে নেওয়া প্রয়োজন।