শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না, খেতেও হবে নিয়ম মেনে। ছবি: সংগৃহীত।
ইদানীং কমবয়সেই ডায়াবিটিস ধরা পড়ছে অনেকের। আধুনিক জীবনযাপন অনেকাংশে এর জন্য দায়ী। বাইরের খাবার খাওয়া, কেক, পেস্ট্রির প্রতি ঝোঁক ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা ডেকে আনছে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে তা যেন বিপদসীমা ছাড়িয়ে না যায়, সে বিষয়ে সব সময় সচেতন থাকা জরুরি। তার জন্য রুটিন মেনে খাওয়াদাওয়া করা জরুরি। ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে জীবনকে নিয়মে না বাঁধলে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। শরীরচর্চা তো জরুরি বটেই। সেই সঙ্গে ইচ্ছেমতো খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমাতে হবে।
তবে শুধু বুঝেশুনে খাবার খেলেই হবে না। সময়েও খেতে হবে। ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ঘড়ি ধরে খাবার খেতে হবে। তবেই সুস্থ থাকা সম্ভব।কী খাচ্ছেন সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কখন খাচ্ছেন সেটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো না খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব। ব্যস্ততম জীবনে খাবার খাওয়ার সময়ই পাওয়া যায় না। সেখানে ঘড়ি ধরে খাওয়াদাওয়া করা অনেক দূরের বিষয়। আর সময়মতো না খাওয়ার ফলেই নানা রোগের ঝুঁকি থেকে যায়। ডায়াবিটিস তার মধ্যে অন্যতম। তাই সুস্থ থাকতে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে খাবারও খেতে হবে।
সুস্থ থাকতে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে খাবারও খেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
অফিসের বিপুল ব্যস্ততা সামলে দুপুরের খাবার সময় মতো খাওয়া সম্ভব নয়। অনেকেরই বাড়ি ফিরতে ফিরতে দেরি হয়ে যায়। ফলে রাতের খাবারও সময়ে খাওয়া হয় না। এক মাত্র সকালের খাবার ঠিকঠাক সময়ে খাওয়ার সুযোগ থাকে। এমনিতে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সকালের জলখাবার। সারা দিন শরীর কেমন থাকবে তা নির্ভর করে সকালের খাবারের উপরে। সকালের দিকে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকে। বেশি ক্ষণ এমনিতেও খালি পেটে থাকা ঠিক নয়। ডায়াবেটিক রোগীরা যদি সকাল ৯ টার মধ্যে জলখাবার খেয়ে নিতে পারেন, তা হলে ভাল। সকালের বিপাকহারও বেশি থাকে। ফলে ভারী খাবার খেলেও হজম করতে অসুবিধা হবে না। পেটও অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকবে। দুপুরেও তাড়াতাড়ি খিদে পাবে। তবে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। কার্বোহাইড্রেট কম খেতে হবে।