অল্প কাজ করেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, রক্তাল্পতার সমস্যার কারণেও হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
অল্প কাজ করেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, চেহারা বাইরে থেকে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, খিদে না পাওয়া— গরমে এই ধরনের সমস্যা লেগেই থাকে। জাঁকিয়ে না পড়লেও, গরম যে একেবারে নেই, এমন নয়। অফিস থেকে ফিরে একটু বেশিই যেন ক্লান্ত লাগে। গরমের শুরুতেই এই সমস্যাগুলিকে অনেকেই ঋতু পরিবর্তনের কারণে হচ্ছে ভেবে ধরে নেন। তবে চিকিৎসকরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, গরমের কারণে এমন হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া ঠিক নয়। এগুলি রক্তাল্পতার সমস্যার কারণেও হতে পারে।
শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম কি না, তা সব সময়ে বাইরে থেকে বোঝা যায় না। যে লক্ষণগুলি এই সমস্যার ইঙ্গিত দেয়, তার মধ্যে অন্যতম হল ক্লান্তি। তবে শুধু এটি ছাড়াও মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, মাঝেমাঝে বুকে ব্যথা, শরীর রক্তশূন্য হয়ে যাওয়া— এগুলিও রক্তাল্পতার উপসর্গ। এই সমস্যার কারণে অনেক সময়ে মানসিক অবসাদও তৈরি হয়। রক্তকণিকার উপাদান কমে গেলে সাধারণত রক্তাল্পতা হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি থেকেও এই রোগ হতে পারে। তবে যে কারণেই হোক রক্তাল্পতার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি কিছু খাবারও রোজের পাতে রাখতে হবে।
হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমানোর মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে ডার্ক চকোলেট। ছবি: সংগৃহীত।
ডার্ক চকোলেট
হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমানোর মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে ডার্ক চকোলেট। এমনি চকোলেট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ডার্ক চকোলেটে সেই ঝুঁকি নেই। বরং এটি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মিটবে।
ড্রাই ফ্রুটস
হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে কিশমিশ, কাজু, খেজুরের মতো শুকনো ফল খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন। অ্যাপ্রিকটেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমাতে এই সব ফলও খেতে পারেন।
সামুদ্রিক মাছ
রক্তাল্পতার অন্যতম কারণ শরীরে আয়রনের অভাব। আয়রন আছে, এমন মাছ রোজের পাতে রাখার কথা বলেন থাকেন চিকিৎসকরা। এ ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছ দারুণ উপকারী। চিংড়ি, টুনা, পমফ্রেটের মতো সামুদ্রিক মাছে ভাল মাত্রায় আয়রন থাকে। যাঁরা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাঁরা এ সব মাছ খেতে পারেন।