ফ্রোজ়েন শোল্ডার হয় কেন? — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাতে দিব্যি ঘুমিয়েছেন। কিন্তু সকালবেলা চোখ খোলার পর আর হাত নাড়তে পারছেন না। কাঁধ এমন শক্ত হয়ে গিয়েছে যে, নড়চড়া করার উপায় নেই। রোগটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন। ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ নামে বেশি পরিচিত হলেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ‘অ্যাডহেসিভ ক্যাপসুলাইটিস’ বলা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে ঘাড়, কাঁধের পেশি এবং অস্থিসন্ধির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, যে অস্থিসন্ধি দ্বারা বাহু ও কাঁধ সংযুক্ত থাকে, সেই অস্থিসন্ধিতে অবস্থিত হাড়, লিগামেন্ট ও টেনডনগুলি কিছুটা ক্যাপসুলের মতো এক প্রকার টিস্যু দ্বারা আবৃত থাকে। এই ক্যাপসুল ফুললে বা শক্ত হয়ে গেলে ফ্রোজেন শোল্ডার দেখা দিতে পারে। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে অবশ্য নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা।
কী দেখে চিনবেন?
ফ্রোজেন শোল্ডারের ব্যথা শুরু হয় কাঁধ থেকে। তার পর ক্রমে সেই ব্যথা নেমে আসে হাত পর্যন্ত। হাত নাড়তে বা তুলতে অসুবিধা হয়। আবার, অনেকের এই ব্যথা কমে এলেও একটা পর্যায়ের পর হাত আর উপর দিকে ওঠে না কিংবা পিছন দিকে ঘোরানো যায় না। মোট কথা, পেশির নমনীয়তা একেবারেই নষ্ট হয়ে আসে।
কী ভাবে মিলবে মুক্তি?
সাধারণত কিছু সময় পর নিজে থেকেই এই ধরনের ব্যথা কমে আসে। কিন্তু তা সময়সাপেক্ষ। ক্ষেত্র বিশেষে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা কমানোর ওষুধ কিংবা ফিজিয়োথেরাপির সাহায্য নিতে হয়। ব্যথা কমলে সাধারণ কিছু ব্যায়াম করা যেতে পারে।